নিজস্ব প্রতিবেদক >>
বাংলাদেশের প্রখ্যাত লেখক, গবেষক ও ইসলামী বুদ্ধিজীবী জাতীয় লেখক পরিষদের সভাপতি সৈয়দ শামছুল হুদা বলেন, দেশের কওমি ভিত্তিক ইসলামী রাজনৈতিক দলসমূহ মূলত পার্লামেন্টারি রাজনীতির ধারায় সক্রিয় নয় এবং রাষ্ট্রের প্রশাসনিক ও নীতিনির্ধারণী অঙ্গের সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি। এ কারণে তারা অনেক সময় মৌসুমী রাজনীতির সীমাবদ্ধতায় পড়ে এবং রাজনীতিতে তাদের বাস্তব সাফল্যও খুবই দুর্বল।
তিনি বলেন, “যেহেতু এসব কওমিভিত্তিক দল বিভিন্ন সময় রাষ্ট্রীয় অন্যায়-অবিচার ও নৈতিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় থাকে এবং জাতির কল্যাণ চায়, সেহেতু তাদের জন্য সংসদে যাওয়ার একটি বিশেষ পথ তৈরি করা উচিত।”
সৈয়দ শামছুল হুদা আরও বলেন, “আমি মনে করি, আলেম-ওলামাদের জন্য জাতীয় সংসদে ৫০টি আসন বরাদ্দ করা হোক, যেন তারা কোনো জোট বা নির্বাচনকেন্দ্রিক জটিলতায় না জড়িয়ে সরাসরি সংসদে অংশ নিতে পারেন। তারা দেশে এক ধরনের ‘সংখ্যালঘু ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী’ হিসেবে বিবেচিত, যাদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করাও একটি রাষ্ট্রের দায়িত্ব।”
তিনি বলেন, “এই বিশেষ আসন বরাদ্দের মাধ্যমে শুধু ইসলামী চিন্তাবিদদের কণ্ঠস্বর রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে পৌঁছবে না, বরং এটি একটি ভারসাম্যপূর্ণ, নৈতিক ও মানবিক সমাজ বিনির্মাণে সহায়ক হবে।”
হাআমা/