খুলনার জামি‘আ ইসলামিয়া মারকাযুল উলূমের ‘খানকায়ে মাদানী’র উদ্যোগে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী তা’লীমী ইজতেমা আজ আখেরি নসিহত ও মুনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়েছে।
উক্ত ইজতেমা ছিল বিশ্ববিখ্যাত বুযুর্গ, শাইখুল মাশায়েখ, মাহবুবুল উলামা হযরত মাওলানা পীর যুলফিকার আহমাদ নকশবন্দী (দা.বা.) এর খানকাহী নেজামভিত্তিক নসিহত ও রূহানিয়াতপূর্ণ শিক্ষামালার একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্ব।
আজ রবিবার সকালে অনুষ্ঠিত সমাপনী পর্বে আখেরি নসিহত ও হৃদয়স্পর্শী মুনাজাত পরিচালনা করেন মারকাযুল উলূম খুলনার প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক শায়খুল হাদীস হযরত যাকারিয়া রহ. এর খলিফা ও যোগ্য শাগরিদ আল্লামা মুফতী গোলাম রহমান হাফিজাহুল্লাহ।
ইজতেমায় প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হযরত পীর যুলফিকার আহমদ নকশবন্দী হাফিজাহুল্লাহর এশিয়া অঞ্চলের অন্যতম খলীফা শায়খ মুহাম্মাদ হাফিজাহুল্লাহ (মালয়েশিয়া)।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন:
- মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সুবহানী – হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমীর ও ঢাকার সেগুনবাগিচা জামে মসজিদের খতীব
- মাওলানা গোলাম রাব্বানী হাফিজাহুল্লাহ – লন্ডন
- মাওলানা মুশতাক আহমাদ হাফিজাহুল্লাহ – মুহতামিম, খুলনা দারুল উলূম
- মুফতী আব্দুল হাই হাফিজাহুল্লাহ – মুহাম্মাদনগর মাদরাসা
- মাওলানা সাখাওয়াত হুসাইন ও মাওলানা নাসিরুদ্দীন কাসেমী – শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ. এর খলীফা
- মাওলানা মুহাম্মাদ মুয়াজ হাফিজাহুল্লাহ – পরিচালক, ঢাকা শুভেচ্ছা ফাউন্ডেশন
- মাওলানা আতাউর রহমান আতিকী – মহাসচিব, কওমি মাদরাসা শিক্ষক সমিতি
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন খানকায়ে মাদানী এর নাজিম
ও শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী এর খলীফা মুফতী আবদুল্লাহ ইয়াহইয়া হাফিজাহুল্লাহ।
ইজতেমায় আরও উপস্থিত ছিলেন: মুফতী জিহাদুল ইসলাম, মুফতী মাশহুদুর রহমান, মুফতী আব্দুল কাইয়ুম জমাদ্দার, মুফতী ইউনুছ আহমাদ, মাওলানা আব্দুল হাকীম, মুফতী মানযুর আহমাদ, মুফতী মিজানুর রশীদ, মুফতী মাসুম বিল্লাহ, মুফতী হাসান জামিল, মুফতী জাকির হুসাইন, মুফতী জুনাইদ আহমাদ, মুফতী রবিউল ইসলাম রাফে, মুফতী হুমায়ূন কবীর, মুফতী মুঈনুল ইসলাম, মুফতী ইব্রাহিম খলীল, মুফতী আব্দুল্লাহ মুখতার, মাওলানা ইকবাল হুসাইন, মাওলানা মিজানুর রহমান, মুফতী আহমাদ ঈসা ও মুফতী জিকরুল্লাহসহ দেশ-বিদেশের শতাধিক ওলামায়ে কেরাম ও মুরিদানগণ।
সমগ্র ইজতেমাজুড়ে কুরআন-সুন্নাহ ভিত্তিক শিক্ষাদান, আত্মশুদ্ধি, তাযকিয়া ও আল্লাহর সঙ্গে গভীর সম্পর্ক স্থাপনের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। অংশগ্রহণকারীরা এ ধরনের আয়োজনকে জীবনগঠনে অমূল্য পথনির্দেশনা হিসেবে উল্লেখ করেন।
হাআমা/