চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়ি বহরে হামলার হোতা যুবলীগ নেতা শামশুদ্দোহা সিকদার আরজু ওরফে আরজু সিদকারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও যুবলীগের উত্তর জেলার সহ-সভাপতি।
শুক্রবার (২৭ জুন) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী থানা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে। আরজু সিকদার রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সৈয়দবাড়ি এলাকার বাসিন্দা এবং বিদেশে পলাতক সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের ঘনিষ্ঠজন।
জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৮ জুন পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় পাহাড় ধসের স্থান পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণে যান মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল। ওইদিন রাঙ্গুনিয়ার ইছাখালী এলাকায় তাদের গাড়ি বহরে হামলা করে যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির অন্তত পাঁচজন শীর্ষ নেতা আহত হন। এ সময় ভাঙচুর করা হয় ১০টি গাড়ি।
এদিকে আরজু গ্রেপ্তারের পর তার একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরালে হয়েছে। সেখানে তাকে বলতে শোনা যায়, পুলিশ হয়ে ঘরে ঘরে অভিযান চালাব।
হাসিনা সরকারের পতনের পর গত বছরের ১৯ আগস্ট এ ঘটনায় ৮৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরো ২০০-৩০০ জনকে আসামি করে চট্টগ্রাম আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন এক যুবদল নেতা। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
এ বিষয়ে রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম শিফাতুল মাজদার আমার দেশকে জানান, আরজু সিকদার নগরের পাহাড়তলী থানায় গ্রেপ্তার হয়েছেন। পাহাড়তলী থানা পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে।
এআইএল/