অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, আলেমদেরকে আগামী দিনে জাতির নেতৃত্ব দিতে হবে। নিজেরাই নিজেদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করলে বাংলাদেশে ইসলামি কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের সম্ভাবনা পিছিয়ে যাবে।
বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে কক্সবাজার জামিয়াতুল ইমাম মুসলিম রহ: কক্সবাজার ক্যাম্পাসে আয়োজিত ‘আরবি ভাষা ও ইসলামী সংস্কৃতি বিষয়ক কর্মশালায়’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘ইংরেজি আন্তর্জাতিক ভাষা হলেও আরবি ভাষার বিশ্বব্যাপী সুখ্যাতি রয়েছে। প্রকৃত জ্ঞান ও আরবি ভাষা শিক্ষার মাধ্যমে আগামী দিনে দেশ ও সমাজ গঠনে জামিয়ার ছাত্রদের তৈরি করতে হবে।’
কক্সবাজার জামিয়াতুল ইমাম মুসলিম রহ: মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সালাহুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, ‘কোরআন হাদিসের আলোকে, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আলেম-ওলামাদের পৃথিবীকে জানার চেষ্টা করতে হবে। বাংলা, আরবির পাশাপাশি ইংরেজি ভাষা শিক্ষায় মনযোগী হতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘মানব সেবার জন্য অর্থ বড় বিষয় নয়, প্রকৃত মানব সেবার মানসিকতার প্রয়োজন রয়েছে। শুধুমাত্র নীতি বাক্য দিয়ে সমাজ ও দেশ বদলানো যাবে না। দারিদ্র্য বিমোচন ও মানুষের দুর্যোগে ছুটে যেতে হবে। দেশ ও সমাজকে বদলাতে গেলে উম্মাহর জন্য উপকারী শত সহস্র কাজ করতে হবে।’
সভায় বক্তব্য রাখেন আন্তর্জাতিক ইসলামি স্কলার, মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মদিনা প্রফেসর ও গবেষক ড. যায়েদ বিন মুহাম্মদ, সৌদি প্রশিক্ষক ড. বরিক বিন মুহাম্মদ, ড. সাউদ বিন আবদুল আজিজ, ড. মনছুর বিন আবদুল আজিজ।
অনুষ্ঠান শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানের শায়খুল হাদিস আবদুল গফুর নদিম। সমাপনী বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জামিয়াতুন নুর আল আলামিয়ার পরিচালক আল্লামা ওবাইদুল্লাহ হামযা।
ঢাকাস্থ সৌদি দূতাবাসের তত্বাবধানে জামিয়াতুল ইমাম মুসলিম রহ: সার্বিক সহযোগিতায় জামিয়ার সপ্তাহব্যাপী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদেরকে আরবি ভাষা ও ইসলামি সংস্কৃতি কর্মশালা প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা পরিচালিত হচ্ছে।
উল্লেখ্য, জামিয়াতুল ইমাম মুসলিম রহ: কক্সবাজার শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চশিক্ষার পথ সুগম করার নিমিত্তে বহির্বিশ্বের নানান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সম্পাদনে সক্ষম হয়েছে।
গত বছর ২৪ জুলাই বিশ্বের অন্যতম ইসলামি শিক্ষাকেন্দ্র মদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে দ্বিপক্ষীয় সনদের সমতা চুক্তি (মুয়াদালা) সম্পন্ন হয়। যা জামিয়ার ইতিহাসে এক অভূতপূর্ব সাফল্য।
এআইএল/