হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীর ও তাহাফফুজে খতমে নবুওয়তের মহাসচিব মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী বলেছেন, কুমিল্লার মুরাদনগরের ধর্ষণের ঘটনায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস. মুরশিদ দেশের হাজারো কওমি ও আলিয়া মাদরাসার সম্মানিত দ্বীনি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে বলৎকারের অভিযোগ এনেছেন। তিনি মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থায় কালিমা লেপনের অপচেষ্টা করেছেন। তার এই বক্তব্য কেবল অযৌক্তিকই নয়, বরং ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ বলেই আমরা মনে করি।
শুক্রবার (৪ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলানা রাব্বানী বলেন, উপদেষ্টা একতরফা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন, আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাচ্ছি। এদেশের মাদরাসাগুলো মহান আল্লাহ তাআলার ভয় ও রাসুলুল্লাহ সা.–এর সুন্নাহ মোতাবেক চরিত্র গঠনের মহান লক্ষ্যে নিবেদিত। এসব প্রতিষ্ঠানে লক্ষ লক্ষ ছাত্র জীবনের মূল্যবান সময় ব্যয় করে ইলম ও আমলের প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। বিচ্ছিন্ন কোনো দুঃখজনক ঘটনা থাকলেও, তা দেশের পুরো ধর্মীয় শিক্ষাব্যবস্থাকে কলঙ্কিত করার অজুহাত হতে পারে না। এটি চরম অন্যায় এবং ঘৃণিত মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ।
তিনি আরও বলেন, আমরা গভীরভাবে আশঙ্কা করছি যে, শারমিন এস. মুরশিদের এই বক্তব্যের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় ঢাকায় স্থাপন ও সমকামী দূত নিয়োগের মতো জাতীয়ভাবে অগ্রহণযোগ্য ও বিতর্কিত ইস্যু থেকে জনগণের দৃষ্টি সরাতে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে টার্গেট করে এই বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। এটি শুধু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নয়, বরং বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় বিশ্বাস, মূল্যবোধ ও দেশপ্রেমিক ঐক্যের বিরুদ্ধেও একটি গভীর ষড়যন্ত্র।
তিনি আরও বলেন- আমরা স্পষ্ট দাবি জানাচ্ছি— শারমিন এস. মুরশিদকে জাতির সামনে প্রকাশ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। তিনি মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা পদ থেকে অবিলম্বে পদত্যাগ করবেন অথবা সরকার কর্তৃক তাকে অপসারণ করতে হবে। ভবিষ্যতে কোনো সরকারি দায়িত্বশীল ব্যক্তি যেন ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে এমন দায়িত্বহীন, অসত্য ও উস্কানিমূলক মন্তব্য না করে— সে বিষয়ে কঠোর আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। দেশের ধর্মীয় শিক্ষার সম্মান ও মর্যাদা রক্ষায় রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সংবিধানসম্মত সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
এআইএল/