ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় বৈঠক শেষ হয়েছে। তবে গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির বিষয়ে আলোচনায় কোনো অগ্রগতির প্রকাশ্য ঘোষণা ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়। বৈঠকের পর চুপচাপ হোয়াইট হাউজ ছাড়েন নেতানিয়াহু। বৈঠকের মূল বিষয়বস্তু ছিলো গাজায় জিম্মি মুক্তির নিয়ে আলোচনা।
খবর টাইমস অব ইসরাইলের।
এর আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন যে বৈঠকে গাজা উপত্যকা নিয়ে আলোচনা করা হবে। আর মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ আশা প্রকাশ করেছিলেন যে এই সপ্তাহে একটি চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হবে।
তবে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সসহ নেতানিয়াহু এবং ট্রাম্প ওভাল অফিসে এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে বৈঠক করার পর বিষয়টি নিয়ে কোনো প্রকাশ্য ঘোষণা আসেনি। বরং উইটকফ দোহা সফর বিলিম্বিত করেছেন। ইসরাইল-হামাস যুদ্ধবিরতি নিয়ে দোহায় আলোচনায় যোগ দেওয়ার কথা ছিল তার। সফর পিছিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত থেকে বোঝা যাচ্ছে যে এখনও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি বাকি।
সৌদি আশরাক নিউজ আউটলেট নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ‘অবগত সূত্র’ উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, কাতারে পঞ্চম দফা আলোচনা মঙ্গলবার রাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ছাড়াই শেষ হয়েছে।
একজন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা সংবাদ সাইটটিকে বলেছেন, আলোচনা ‘স্থবির অবস্থায়’ রয়েছে। আলোচনার পরিবর্তে প্রতিনিধিরা শোনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা দাবি করেছেন, ইসরায়েলি দলের প্রকৃত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই। কারণ অনেক দুর্বল প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে তেল আবিব। তার দাবি, ‘যেকোনো সম্ভাব্য চুক্তিকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য এগুলো নেতানিয়াহুর স্থবির নীতির ধারাবাহিকতা।’
এআইএল/