আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল অনিল চৌহান সম্প্রতি দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, বাংলাদেশ, চীন ও পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক ভারতের জন্য একটি গুরুতর হুমকি হিসেবে দেখা দিচ্ছে। ভারতের জাতীয় দৈনিক দ্য ট্রিবিউন-এর বরাতে এ তথ্য জানা গেছে।
তিনি বলেন, ‘এই তিন দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ভারতের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।’ বিশেষ করে চীনের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের প্রতি রাষ্ট্রীয় সমর্থন ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের বিষয়টি তিনি গুরুতরভাবে উল্লেখ করেন।
জেনারেল চৌহান আরও বলেন, ‘পাকিস্তান তাদের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ সামরিক সরঞ্জাম চীন থেকে সংগ্রহ করে। ফলে চীন স্বাভাবিকভাবেই তাদের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও পালন করে।’ তার মতে, বর্তমান সময়ে যুদ্ধের ধরন বদলে গেছে—ব্যবহৃত হচ্ছে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও হাইপারসোনিক অস্ত্র। এরকম অস্ত্র থেকে শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উপায় এখনো কারও নেই।
ত্রিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আশঙ্কা
জেনারেল চৌহানের এই মন্তব্য এসেছে ঠিক বাংলাদেশ-চীন-পাকিস্তানের মধ্যে প্রথম ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের মাত্র ১০ দিন পর, যা নয়াদিল্লিতে কূটনৈতিক মহলে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
অতীত মন্তব্যের প্রেক্ষাপট
এর আগেও ভারতের সেনাবাহিনীর উপ-প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাহুল আর সিং বলেছিলেন, মে মাসে অনুষ্ঠিত চার দিনের এক যুদ্ধে ভারত একযোগে তিন প্রতিপক্ষ—চীন, তুরস্ক ও পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, “পাকিস্তান সম্মুখভাগে থাকলেও চীন তাদের পূর্ণ সহায়তা করেছে।”
সীমান্ত ও নিরাপত্তা প্রসঙ্গ
ভারতের সেনাপ্রধান বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের একটি দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। তাই বাংলাদেশ যদি চীন-পাকিস্তান জোটের দিকে অগ্রসর হয়, তবে ভারতের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ আরও বাড়তে পারে।
তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘ভারতকে এখন পুরনো ও নতুন উভয় ধরনের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’
হাআমা/