অস্থিরতা সৃষ্টিকারীদের লাগাম টানতে কঠোর নজরদারি প্রয়োজন

by Nur Alam Khan

বর্তমান দেশের প্রেক্ষাপটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা শুধু বাহিনীর দায়িত্ব নয়, বরং এটা গোটা রাষ্ট্রযন্ত্রের একটি সমন্বিত দায়িত্ব। বিশেষ করে যখন রাষ্ট্রবিরোধী কোনো পলাতক শক্তি উস্কানি দেওয়ার মতো সাহস দেখায়, তখন সেই সম্ভাব্য অস্থিতিশীলতা কঠোরভাবে রুখে দেওয়া আবশ্যক। কারণ এক জেলার ঘটনা, যদি যথাযথভাবে মোকাবিলা না করা হয়, তা হলে তা পরিণত হতে পারে বহুজেলা ও বহুমাত্রিক চাঙ্গাভাবের অনুঘটকে।

আমাদের মনে রাখতে হবে—প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা, ঘটনার পরের পদক্ষেপের চেয়ে সবসময় কার্যকর। একটি উত্তপ্ত দিনের আগেই যদি সংশ্লিষ্ট নিষিদ্ধ সংগঠনের ৪০-৫০ জন সক্রিয় ও উস্কানিমূলক ভূমিকা রাখা ব্যক্তিকে গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে আটক করা যায়, তাহলে রাস্তায় নামার মতো ভীড় গঠনের আগেই তা ভেঙে যায়। রাস্তায় একবার শত শত মানুষ নেমে গেলে তখন কেবল লাঠি, গ্যাস বা জলকামান দিয়েই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে।

বিজ্ঞাপন
banner

এছাড়াও মিডিয়ার ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় দেখা যায়, একটি সীমিত সংঘাতকে ভুল ব্যাখ্যা বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে উপস্থাপন করে পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করা হয়। ফলে মাঠে নামা বাহিনীগুলোর কৌশল ও সাহস—উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই রকম পরিস্থিতি যেন ‘বুমেরাং’ না হয়ে দাঁড়ায়, সেজন্য সরকার ও নীতিনির্ধারকদের আগেভাগে সচেতন হতে হবে।

সবচেয়ে জরুরি হলো—আজকের যেকোনো সহিংস ঘটনার শক্ত ও সুপরিকল্পিত ফলোআপ। এটি দুষ্টু ও উগ্র চিন্তার লোকদের জন্য একটি বার্তা হবে: রাষ্ট্র এখনো সজাগ। একই সঙ্গে ফ্যাসিবাদ-উত্তর রাজনৈতিক বাস্তবতায় যেসব ইতিবাচক শক্তি আছে, তাদের ভেতরে কমপক্ষে একটি ন্যূনতম বোঝাপড়া গড়ে উঠতে হবে। তা না হলে এই জাতীয় সুযোগে দমন-পীড়নের নতুন যুক্তি তৈরি হতে পারে।

রাষ্ট্রের এই রূপান্তর-সংকটময় সময়ে, আইনি, রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিরোধ—তিনটি স্তরেই সংহত উদ্যোগ প্রয়োজন।

এনআর/

banner

এ জাতীয় আরো সংবাদ

প্রকাশক: আবু সায়েম খালেদ
পরিচালক: এইচ. এম. মুহিউদ্দিন খান
আসকান টাওয়ার, ৬ষ্ঠ তলা, ১৭৪ ধোলাইপাড়
যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪
ইমেইল: info@36news24.com
ফোন: 01401 400222