সীমান্ত বিরোধের জেরে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ দ্বিতীয় দিনের মতো অব্যাহত রয়েছে। সংঘর্ষে থাইল্যান্ডে এ পর্যন্ত ১৫ জন এবং কম্বোডিয়ায় একজন নিহত হয়েছেন। চলমান সংঘাত থেকে বাঁচতে দুই দেশের সীমান্ত এলাকা থেকে পালিয়েছে এক লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষ।
খবর আল জাজিরার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আজ শুক্রবার (২৫ জুলাই) দ্বিতীয় দিনের মতো প্রাণক্ষয়ী লড়াই অব্যাহত রয়েছে। সংঘাতে দেশ দু’টি একে অপরকে লক্ষ্য করে বিমান, কামান এবং রকেট হামলা চালায়।
থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কম্বোডিয়া হামলা চালানোর পর তাদের বাহিনী গুলি চালিয়ে জবাব দিয়েছে।
এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে এটা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দুই প্রতিবেশীর মধ্যে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সামরিক সংঘর্ষ।
এদিকে কূটনৈতিক সূত্রগুলো সংবাদ সংস্থাকে এএফপি জানিয়েছে, সীমান্ত যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ আজ (শুক্রবার) একটি জরুরি বৈঠক করবে।
থাইল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৪ জন বেসামরিক নাগরিক এবং একজন সেনা নিহত হয়েছেন।
অন্যদিকে কম্বোডিয়ার সীমান্ত প্রদেশের একজন স্থানীয় প্রাদেশিক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, থাই হামলায় একজন নিহত এবং পাঁচজন আহত হয়েছেন।
থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ৩০ জনের বেশি বেসামরিক নাগরিক এবং ১৫ জন সেনা আহত হয়েছেন। কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী চারটি প্রদেশের কমপক্ষে এক লাখ ৬৭২ জনকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই সুরিন প্রদেশের।
অন্যদিকে, কম্বোডিয়ার থাইল্যান্ড সীমান্ত থেকে অন্তত ২০ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
গত রোববার সংঘর্ষে জড়ায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই দেশ থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া। এই বিরোধ শতবছরের পুরোনো, ফরাসিরা যখন কম্বোডিয়া দখল করেছিল তখন দুই দেশের সীমান্ত চিহ্নিত করা হয়। অমিমাংসিত সীমান্ত এবং ঐতিহাসিক ভূমি বিরোধ, বিশেষ করে প্রিয়া ভিহার মন্দিরকে কেন্দ্র করে। এছাড়াও, দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সামরিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায় এই সংঘাত আরো তীব্র হয়েছে।
এআইএল/