সরকার কর্তৃক আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার পর, গোপনে সংগঠিত হয়ে পরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রমের অভিযোগে সাবেক এমপি নাঈমুজ্জামান ভুঁইয়া মুক্তাসহ ৪৭ জনের নাম এবং অজ্ঞাত আরো ১২০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলতি মাসের ২০ জুলাই পঞ্চগড় সদর থানার উপ-পরিদর্শক মানিক মিয়া বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
শনিবার (২৬ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করে পঞ্চগড় সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ হিল জামান বলেন, এ মামলায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মামলায় আসামীরা হলেন, পঞ্চগড়-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নাইমুজ্জামান ভুঁইয়া মুক্তা, যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কাজী মৌসুমী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, আবু তোয়াবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, আনোয়ার সাদত সম্রাট, সাবেক পৌর মেয়র জাকিয়া খাতুন। এছাড়াও আরও ৩৯ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ১২ মে সরকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনসমূহের সব ধরনের দলীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এরপরও ২৬ জুন পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নাইমুজ্জামান ভুঁইয়া মুক্তার ধাক্কামারা ইউনিয়নের কাজীপাড়ার খামারবাড়িতে দলীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন চলছে। ওই বাসায় যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কাজী মৌসুমীর নেতৃত্বে প্রায় ১১০-১২০ জন নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। সেখানে ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটা, ‘জয় বাংলা’ ও ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ শ্লোগান, খাবার বিতরণ এবং নগদ টাকা প্রদান করা হয়। নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন বক্তব্যের মাধ্যমে দলীয় কর্মীদের উস্কে দেন ও উৎসাহ দেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
আরও উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তরা দলীয় কার্যক্রমের পাশাপাশি সরকার উৎখাত, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা, সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করছিলেন। এমনকি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানটি ভিডিও ধারণ করে ‘আওয়ামীলীগ নিউজ বিডি’ নামক একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পেইজে প্রচার করা হয়, যা জনমনে বিভ্রান্তি ও আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পারে।
এআইএল/