জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, পুলিশ হত্যাকে ডমিনেট করে এর দায় অভ্যুত্থানকারী ছাত্র-জনতাকে দেওয়ার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা ৩ আগস্ট এক দফায় স্পষ্ট করেছি- আমাদের লড়াই শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে পরিণত হয়েছে। আমাদের যে দমন নিপীড়ন করা হয়েছে, সে সময় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বাধ্য হয়েছিলাম। আমাদের লড়াই ছিল ফ্যাসিস্ট বাহিনীর বিরুদ্ধে।
শনিবার(২৬ জুলাই) দুপুরে মৌলভীবাজারের বেরিরপাড়ে ‘দেশ গড়তে জুলাই পথযাত্রা’ শেষে পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ বলেন, আমরা মৌলভীবাজার থেকে সম্প্রীতির রাজনীতি শুরু করতে চাই; যা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়বে।
তিনি বলেন, পুরোনো সিস্টেমে পুরোনো আইনে এই বাংলাদেশকে আর চলতে দেব না। অভ্যুত্থানের পর নানা শক্তি চেষ্টা করছে দেশকে এগিয়ে নেবার। বিচার, সংস্কার ও নতুন সংবিধানের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু করতে চাই। অন্তবর্র্তী সরকারের কাছে আমাদের অনেক স্বপ্ন ও দাবি ছিল। সব স্বপ্ন ও দাবিকে নির্বাচনের সঙ্গে একদফা দাবিতে রূপান্তর করা হয়েছে।
এনসিপি আহ্বায়ক বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ও আলেম সমাজ ইনসাফের পক্ষে লড়াই করেছেন। স্বাধীনতা ও আলেম সমাজের পক্ষে সে লড়াই অব্যাহত থাকবে। ভারতের আসাম ও ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলাদেশের সংস্কৃতির অনেকটা মিল রয়েছে। সেখানে মুসলমান ও হিন্দুদের বাঙালি চিহ্নিত করে নাগরিকত্ব বাতিল করা হচ্ছে।
চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জীবন মানোন্নয়নে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এনসিপি নেতা।
পথসভায় এনসিপির মৌলভীবাজার জেলার প্রধান সমন্বয়কারী ফাহাদ আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার, জাতীয় যুব শক্তির কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব ডা. জাহেদ, সংগঠক মারুফ আল হামিদ, জাকারিয়া ইমনসহ স্থানীয় জেলা এনসিপির সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী এহেসান জাকারিয়া, কবিরুল ইসলাম রুমন, তামিম আহমদ, সানাউল ইসলাম সুয়েজ, সাফওয়ান জাহান চৌধুরী, সৈয়দ মুফলে উস সালেকীন, আব্দুল্লাহ আল হোসাইন, আব্দুল বারী খোবায়েব ও শামায়েল রহমান প্রমুখ।
এনআর/