রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৬ জুলাই) অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, অতীতের দমন-পীড়ন এবং ভবিষ্যতের পথরেখা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়।
আলোচনার মূল বিষয়গুলো
বৈঠকে ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরে ঘটনার ক্ষতিগ্রস্তদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ, ঐ ঘটনার তথ্য-উপাত্ত সংরক্ষণ এবং হেফাজতের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলার বিষয়ে জাতিসংঘের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অনুসন্ধান চালানোর প্রস্তাব গুরুত্ব পায়।
এছাড়াও বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনামলে হেফাজতের নেতাকর্মী ও আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলাগুলোর প্রত্যাহার বিষয়েও অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়।
অংশগ্রহণকারী নেতৃবৃন্দ
হেফাজত প্রতিনিধি দলের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা খুলিল আহমেদ কুরাইশী, মাওলানা সাজেদুর রহমান, মুফতি জসিম উদ্দিন, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা মহিউদ্দীন রব্বানী, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মুফতি বশির উল্লাহ এবং মুফতি কেফায়তুল্লাহ আজহারী।
সরকারি পক্ষের অংশে ছিলেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
বৈঠকে সব পক্ষ অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ ও ইনসাফভিত্তিক পথে এগিয়ে নেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
পিনাকীর প্রতিক্রিয়া
এই বৈঠক প্রসঙ্গে জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম নেপথ্য কারিগর ও প্রবাসী বিশ্লেষক পিনাকী ভট্টাচার্য বলেন, ‘অবশেষে আমার কথা শুনেছেন উনারা। এই বৈঠকটি বহু আগেই হওয়া উচিত ছিল। গত দুদিনের রাগ ঝাড়ার পর গুরুত্ব দিয়ে এই বৈঠকটি হলো।’
তিনি বলেন, ‘আগামীর বাংলাদেশে আলেম সমাজকে বাইরে রেখে কোনো জাতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।”
এর আগে তিনি জাতিসংঘের অফিস ও দেশের চলমান সমস্যার সমাধানে প্রধান উপদেষ্টাকে হেফাজতে ইসলাম ও আলেমদের সঙ্গে বৈঠক করার আহ্বান জানিয়েছেন।
হাআমা/