বিএনপির রাজনীতিতে চাঁদাবাজির প্রসঙ্গে তীব্র সমালোচনা করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, “বিএনপির রাজনীতিতে চাঁদাবাজির প্রবণতা এখন উদ্বেগজনক রূপ নিয়েছে। ৫ আগস্টের পর থেকে এই অপসংস্কৃতি আরও বিস্তৃত হয়েছে, অথচ এখন দলটি নিজের দায় এড়িয়ে দোষ চাপাচ্ছে তরুণদের ওপর।”
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) টাঙ্গাইলে ‘জুলাই পদযাত্রা’ উপলক্ষে আয়োজিত এক কর্মসূচির আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশ্যে বলেন, “দলের ভেতরের চাঁদাবাজি বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার এখনই সময়। অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতার অভাবে বিএনপির বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে বিএনপি আজ পর্যন্ত কোনো বাস্তবসম্মত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। তাদের লেনদেনের উৎস, ব্যয় বা আর্থিক জবাবদিহিতা সম্পর্কে জনগণের কাছে কোনো স্বচ্ছতা নেই। রাজনৈতিক অর্থনীতিতে চাঁদাবাজির যে কালো ছায়া পড়েছে, তা নির্মূল করতে না পারলে সংস্কারের সব প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হবে।”
নাহিদ ইসলাম জুলাই সনদের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “এই সনদের আবেদন কেবল ঘোষণায় সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। সংবিধানিক বৈধতা দিতে হবে গণপরিষদ, গণভোট অথবা এলএফও (লিগ্যালি ফরসেবল ইনস্ট্রুমেন্ট)-এর মাধ্যমে। পরবর্তী সরকারকে এই সনদ বাস্তবায়নে বাধ্য করতে হবে।”
নির্বাচন ব্যবস্থা ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সংস্কারের প্রসঙ্গে এনসিপি আহ্বায়ক বলেন, “যদি নির্বাচন কমিশনের জন্য একটি নিয়োগ কমিটি গঠিত হয়, তবে সেই একই কাঠামো অনুসারে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)-তেও সদস্য নিয়োগ হওয়া উচিত। সরকারি চাকরিতে দলীয়করণ নয়, বরং যোগ্যতা ও নিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠাই এখন সময়ের দাবি।”
উচ্চকক্ষ ও সাংবিধানিক কাঠামো প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, “যদি উচ্চকক্ষে পার্লামেন্টারি রিভিউ (PR) ব্যবস্থা চালু করা যায়, তবে রাষ্ট্র পরিচালনায় একটি জবাবদিহিমূলক পরিবেশ তৈরি হবে। যুক্তি ও তথ্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে—তা যেন দেশের ও জাতির কল্যাণে ব্যবহৃত হয়।”
হাআমা/