ভারতকে ‘মৃত অর্থনীতি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র দেশটির সঙ্গে খুব কম ব্যবসা করে। কারণ তাদের শুল্ক অনেক বেশি।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ভোরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা বলেন। খবর ফিনান্সিয়াল টাইমসের।
ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে রাশিয়ার পাশাপাশি ভারতকেও আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেন, ‘ভারত রাশিয়ার সঙ্গে কী করবে, তাতে আমার কিছু যায় আসে না। তারা তাদের মৃত অর্থনীতিকে একসঙ্গে ‘গোল্লায়’ নিয়ে যেতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। আমরা ভারতের সঙ্গে খুব কম ব্যবসা করেছি, তাদের শুল্ক অনেক বেশি, বিশ্বের সর্বোচ্চ।’
ট্রাম্প মস্কোর সঙ্গে ভারতের অর্থনৈতিক সম্পর্কেরও সমালোচনা করেন। বলেন, ‘ভারত চীনের পরেই রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ক্রেতা। এমন এক সময়ে যখন সবাই চায় রাশিয়া ইউক্রেনে হত্যাকাণ্ড বন্ধ করুক।’
এর একদিন আগে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, তিনি রাশিয়ার অস্ত্র ও জ্বালানি কেনার জন্য নয়াদিল্লিকে শাস্তি দেবেন।
২০২৪ সালে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র ১২৯ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের পণ্য লেনদেন করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্র ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। দুই দেশ প্রতিরক্ষা, প্রযুক্তি এবং অন্যান্য ক্ষেত্রেও একটি কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তুলেছে; যার মূল ভিত্তি চীনকে নিয়ন্ত্রণে রাখার অভিন্ন আকাঙ্ক্ষা।
চীনের পরে নয়াদিল্লি রাশিয়ার তেলের দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রেতা। মস্কো এখনো তাদের অস্ত্রের প্রধান উৎস। যদিও ভারত সরকার সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ফ্রান্স, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইল থেকেও অস্ত্র সংগ্রহ করছে।
বুধবার ট্রাম্প পাকিস্তানের সঙ্গে একটি চুক্তির ঘোষণা দিয়েছেন যার মধ্যে থাকবে তাদের বিশাল তেলের ভাণ্ডার উন্নয়ন। এই চুক্তি সম্পর্কে সামাজিক মাধ্যমে তিনি লেখেন, ‘কে জানে, হয়তো তারা একদিন ভারতের কাছে তেল বিক্রি করবে!’ এই মন্তব্যটি ভারতীয়দের বিরক্ত করার জন্যই সম্ভবত করা হয়েছে।
বুধবার ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী ১ আগস্ট থেকে এ শুল্ক কার্যকর হবে।
এছাড়া বুধবার ছয়টি ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ইরানের পেট্রোলিয়াম, পেট্রোলিয়াম পণ্য, অথবা পেট্রোকেমিক্যাল বাণিজ্যে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর একথা জানায়।
এআইএল/