ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও কর্মচারী হারানোর শোক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ। রবিবার (৩ আগস্ট) এই শোককে বুকে ধারণ করেই কলেজ ক্যাম্পাস সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়া হয়।
সকাল সাড়ে দশটা থেকে কলেজ অডিটোরিয়ামে শুরু হয় শোকসভা ও দোয়া মাহফিল। কান্না ও শোকাচ্ছন্ন পরিবেশে মিলিত হয় শিক্ষার্থীরা, শিক্ষকরা ও অভিভাবকরা। নিহতদের স্মরণে কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।
কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জিয়াউল আলম বলেন, “এই দুর্ঘটনা আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি। কেবল শিক্ষার্থী নয়, আমরা হারিয়েছি আমাদের পরিবারের সদস্যদের। এই শোক কাটিয়ে ওঠা কঠিন, কিন্তু একে অপরের পাশে থাকলে তা সম্ভব।”
তিনি জানান, মানসিক আঘাত কাটিয়ে উঠতে শিক্ষার্থীদের জন্য কাউন্সেলিং কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। “একা কেউ এই শোক বহন করবে না—আমরা সবাই একে অপরের পাশে আছি,” বলেন তিনি।
প্রয়োজনে কলেজ প্রশাসন থেকে কাউন্সেলিং সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে অধ্যক্ষ বলেন, “শিক্ষার্থীদের আচরণে যদি কোনো পরিবর্তন দেখা যায়, বন্ধুদের উচিত কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানানো।”
শিক্ষা কার্যক্রম ধাপে ধাপে শুরু হবে বলেও জানান অধ্যক্ষ। শিক্ষার্থীদের মানসিক প্রস্তুতি ও সুস্থতা বিবেচনায় নিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
অনুষ্ঠানের শেষে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। দোয়ার সময় অনেক শিক্ষার্থী ও শিক্ষককে অশ্রুসিক্ত দেখা যায়।
উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই ঘটে যাওয়া বিমান দুর্ঘটনায় মাইলস্টোন পরিবারের একাধিক সদস্য নিহত হন। এরপর তিন দফায় কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয় এবং ২ আগস্ট পর্যন্ত পাঠদান স্থগিত ছিল। প্রশাসনিক কার্যক্রম চালু থাকলেও এবার সীমিত পরিসরে ক্যাম্পাস উন্মুক্ত করা হলো শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য বিবেচনায়।
হাআমা/