জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বলেছেন,ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কান্ট্রি অফিস খোলার অর্থ হল: এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও মুসলমানদের ধর্মীয় বোধ-বিশ্বাসকে হুমকিতে ফেলে দেওয়া। অন্তর্বর্তী সরকারের কোন এখতিয়ার নেই দেশবিরোধী এ রকম চুক্তি করার। আমরা এই সিদ্ধান্ত বাতিল করার জোর দাবী জানাই।
৩ আগস্ট (রবিবার) বিকেলে পল্টনস্থ দলীয় কার্যালয়ে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মাঝে অনুষ্ঠিত এক দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে উপস্থিত শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এ সব কথা বলেছেন।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র সহ-সভাপতি সভাপতি মাওলানা আবদুর রব ইউসুফীর সভাপতিত্বে ও মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত বৈঠকে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, দলের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, মাওলানা মাহবুবুল হক,মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দীন আহমদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ফয়সাল আহমদ।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া,যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা লোকমান মাযহারী,প্রচার সম্পাদক মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী ও অফিস সম্পাদক মাওলানা হেদায়েতুল ইসলাম।
উভয় দলের নেতৃবৃন্দ ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে শাহাদাত বরণকারী বীর শহীদদেরকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে আরো বলেছেন, এই সফল গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্ণ হলেও জনমনের নানাবিধ উদ্বেগ ও শংকা দূর হয়নি। পরাজিত শক্তি পুনর্বাসিত হতে কোন না কোন ভাবে অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে খবরাখবর আসছে। এ সব ভালো লক্ষণ নয়।
সরকারকে এ বিষয়ে আরো কঠোর হওয়ার আহবান জানিয়ে তারা বলেন, যে কোন মূল্যে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। নির্বাচন নিয়ে কোন প্রকার গড়িমসি করা সমর্থনযোগ্য নয়। সরকারকে এখন দেশে নির্বাচনের যথোপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে মনযোগী হতে হবে।
হাআমা/