স্কার্ফ পরে মুসলিম পুলিশের জানাজায় অংশগ্রহণ, ইসলামবিদ্বেষীদের কড়া জবাব নিউইয়র্ক গভর্নরের

by amirulislamluqman20@gmail.com

নিউইয়র্কে কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মুসলিম পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামের জানাজায় অংশ নিতে গিয়ে হেডস্কার্ফ পরেছিলেন অঙ্গরাজ্যের গর্ভনর ক্যাথি হোকুল। ইসলাম ধর্মের রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তার এ আচরণ সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রশংসা পায়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের রিপাবলিকান সিনেটর ইসলামবিদ্বেষী টেড ক্রুজের কটাক্ষের শিকার হয়েছেন তিনি। তবে গভর্নর হোকুল তার কটুক্তির কঠোর জবাব দিয়েছেন, যা এখন দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।

সোমবার (৪ আগস্ট) ডেইলি জং সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার সূত্রপাত হয় গত বৃহস্পতিবার, যখন নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তিনি ২৮ জুলাই এক বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন। মুসলিম রীতি অনুযায়ী জানাজায় অংশগ্রহণের সময় গর্ভনর হোকুল, পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ এবং শতাধিক নারী পুলিশ সদস্য মাথায় হেডস্কার্ফ পরেন। পুরুষ সদস্যরা ঐতিহ্যবাহী টুপি পরিধান করেন।

বিজ্ঞাপন
banner

এই প্রেক্ষাপটে টেড ক্রুজ একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে ব্যঙ্গ করে লেখেন, ‘Um, wut? — যা অনেকেই ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এবং শোকের মুহূর্তকে অসম্মানজনক বলে মনে করছেন।

এর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় গর্ভনর হোকুল বলেন, ‘শোকাহত পরিবারের ধর্মীয় বিশ্বাসকে সম্মান জানানো একজন প্রকৃত নেতা ও ভদ্র মানুষের কাজ। যার ঘাটতি স্পষ্টভাবে টেড ক্রুজের বক্তব্যে প্রতিফলিত হয়েছে।’ তিনি ক্রুজের মন্তব্যকে ‘অশালীন ও বর্বর’ বলেও আখ্যা দেন।

এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সর্ববৃহৎ মুসলিম অধিকার সংস্থা কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস (CAIR) সিনেটর ক্রুজের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতিতে এটিকে ‘ঘৃণাত্মক ও ধর্মীয় অবমাননাকর’ বলে উল্লেখ করে। সংস্থাটি তার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়ারও দাবি জানায়।

CAIR এ-ও মনে করিয়ে দেয় যে, অতীতেও টেড ক্রুজকে ইহুদি ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সময় ধর্মীয় টুপি পরে থাকতে দেখা গেছে, যা তার দ্বিচারিতার পরিচয় বহন করে।

তবে সমালোচনার পরও টেড ক্রুজ তার অবস্থানে অনড় থেকে ব্যঙ্গাত্মক ভঙ্গিতে লেখেন, ‘আপনি প্রতিদিন হিজাব পরতে পারেন, কারণ আপনি তো খুব ‘ভদ্র’ মানুষ।’

উল্লেখ্য, নিহত পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ছিলেন। তার মৃত্যুর ঘটনায় চারজন নিহত ও একজন আহত হন, আর হামলাকারী পরে আত্মহত্যা করেন।

এই ঘটনাকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রে ধর্মীয় সহনশীলতা, রাজনৈতিক শালীনতা ও নেতৃত্বের দৃষ্টান্ত নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।

সূত্র: ডেইলি জং

অনুবাদ: আমিরুল ইসলাম লুকমান

এআইএল/

 

banner

এ জাতীয় আরো সংবাদ

প্রকাশক: আবু সায়েম খালেদ
পরিচালক: এইচ. এম. মুহিউদ্দিন খান
আসকান টাওয়ার, ৬ষ্ঠ তলা, ১৭৪ ধোলাইপাড়
যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪
ইমেইল: info@36news24.com
ফোন: 01401 400222