‘জুলাই সনদ’-এ ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে শহীদদের স্বীকৃতি না দেওয়ায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’র কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আশরাফ মাহদী।
আজ মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে অনুষ্ঠিত ‘৩৬ জুলাই উদযাপন’ উপলক্ষে ঘোষিত সনদের পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি তার প্রতিক্রিয়া জানান।
মাওলানা আশরাফ মাহদী বলেন, ‘শাপলা না হলে ২৪ সালের প্রেক্ষাপট সৃষ্টি হতো না। ফ্যাসিবাদের পদধ্বনির বিরুদ্ধে প্রথম লড়াই হয়েছিল শাপলায়। শাপলার রক্তেই আন্দোলনের ভিত্তি রচিত হয়েছে। আজকের ঘোষণাপত্রে শাপলা অনুপস্থিত থাকা অত্যন্ত দুঃখজনক ও ইতিহাস বিকৃতির শামিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের সকল রাজনৈতিক নেতৃত্ব শাপলার আবেগকে ধারণ করেছেন। বহুবার শাপলার শহীদদের জন্য ন্যায়বিচার ও খুনীদের বিচার দাবি করেছেন। শাপলার গণহত্যার পরেই হাসিনা সরকার তার নৈতিক বৈধতা হারিয়েছিল। অথচ আজকের ঘোষণাপত্রে তাদের স্বীকৃতি নেই। এই রাষ্ট্র এখনো কালচারাল ফ্যাসিবাদের দাসত্ব থেকে মুক্ত হয়নি।’
তিনি আলেম-ওলামা ও মাদরাসা ছাত্রদের অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ের শুরু থেকে চব্বিশ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে মাদরাসা শিক্ষার্থী ও আলেমরা লড়াই করে গেছেন। এই লড়াইয়ে শতাধিক শহীদ হয়েছেন। তাদের রক্ত ও ত্যাগের স্বীকৃতি ছাড়া এই ঘোষণাপত্র কখনোই পূর্ণতা পাবে না।’
ঘোষণাপত্রের খসড়া আপনারা আগে পড়েন নাই? তখনি কি দেখেন নাই, বলেন নাই কিছু?—এমন প্রশ্নে প্রতিবেদককে তিনি জানান, ‘ঘোষণাপত্রের খসড়া আমরা আগেই পড়েছি। আমরা সর্বত্র দাবি জানিয়েছি, লিখিত প্রস্তাবনাও দিয়েছি। কিন্তু তা আমলে নেওয়া হয়নি। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও রাজনৈতিক পরিসরে এনসিপি নেতার এই বক্তব্য ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই একমত পোষণ করে বলছেন, শাপলা ট্র্যাজেডিকে বাদ দিয়ে কোনো ঐতিহাসিক দলিল পূর্ণাঙ্গ হতে পারে না।
হাআমা/