যশোরের কেশবপুর থানায় ঢুকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে হুমকি ও মারমুখী আচরণের অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীর কেশবপুর উপজেলা পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট অজিয়ার রহমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ
গতকাল বুধবার এ ঘটনা ঘটে। পরে তাকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক জামিন মঞ্জুর করেন।
ঘটনার পরপরই জামায়াতের পক্ষ থেকে অজিয়ার রহমানকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা জামায়াতের প্রচার সেক্রেটারি অধ্যাপক শাহাবুদ্দীন বিশ্বাস।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট উপজেলার লক্ষীনাথকাঠি গ্রামের শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি মামলা রেকর্ড হয়। শহিদুলের চাচাতো ভাই অজিয়ার রহমান এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রবিবার (৪ আগস্ট) কেশবপুর থানায় গিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে হট্টগোল করেন এবং অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি দেন। এ ঘটনায় থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মকলেছুর রহমান বাদী হয়ে অজিয়ারের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
বুধবার সকালে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সাইমুন হাসান অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন। ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, সরকারি কাজে বাধা ও হুমকির অভিযোগে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যায়, অজিয়ার রহমান এক পুলিশ কর্মকর্তাকে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ বলে ধমকাচ্ছেন। ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর নেটিজেনদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। অনেকেই একজন আইনজীবী এবং রাজনৈতিক নেতার এমন আচরণে বিস্ময় প্রকাশ করেন। জামায়াতের অভ্যন্তরেও বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।
অজিয়ার রহমান ছাত্রশিবিরের যশোর জেলা পূর্ব শাখার সাবেক সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে তিনি জামায়াতে ইসলামীর কেশবপুর উপজেলা পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এনআর/