আব্দুল্লাহ কাসিম আজওয়াদ >>
সাহাবউদ্দিনের জীবনযাত্রায় এসেছে এক নতুন সাফল্যের গল্প, যেখানে তার পরিশ্রম আর আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের দক্ষতাভিত্তিক উদ্যোক্তা প্রকল্পের হাত ধরার মিশেলে গড়ে উঠেছে তার স্বপ্নের ভাতের হোটেল।
সাহাবউদ্দিন সাত বছর জাহাজে বাবুর্চির কাজ করেছেন। এরপর পাঁচ বছর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার একটি মাদরাসায় বাবুর্চি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু পেতেন যা বেতন, তাতে পরিবার পোষানো মুশকিল ছিল। ১২ বছরের রান্নাবান্নার অভিজ্ঞতা তাকে স্বপ্ন দেখিয়েছিল নিজের হোটেল খোলার, যেখানে তার হাতের রান্না প্রতিদিন শত শত মানুষ উপভোগ করবে আর তার সংসারে আসবে সচ্ছলতা।
স্বপ্ন থাকলেও সাধ্যের অভাবে তা সম্ভব হচ্ছিল না। তখন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের উদ্যোক্তা তৈরি প্রকল্প তাকে আশাবাদী করে। আবেদন করার পর ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা অনুদান হিসেবে পেয়ে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চিওড়া ইউনিয়নের ধোড়করা বাজারে ভাতের হোটেল শুরু করেন।
বর্তমানে তার হোটেল থেকে প্রতিদিন ৪,০০০ থেকে ৪,৫০০ টাকা আয় হয় এবং সেখানে ৩ জন কর্মীর কর্মসংস্থান হয়েছে। সাহাবউদ্দিনের পাঁচ সদস্যের পরিবার — স্বামী-স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে — বর্তমানে চৌদ্দগ্রামে একটি ভাড়া বাসায় থাকেন।
এই সাফল্যের গল্প প্রমাণ করে যে, সঠিক সহায়তা ও উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ মানুষকে স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য কতটা কার্যকর হতে পারে।
হাআমা/