জুলাই অভ্যূত্থানের অন্যতম অংশীদার আলেম-শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন তরুণ আলেম প্রজন্ম-২৪ এর উদ্যোগে “শাপলা থেকে জুলাই অভ্যূত্থান: ইসলামপন্থীদের অবদান ও প্রত্যাশা” শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১৪ আগস্ট, বৃহস্পতিবার, দুপুর ২টা থেকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এ বৈঠক হয়।
তরুণ আলেম প্রজন্ম-২৪ এর সভাপতি মাওলানা এহসানুল হকের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হুজাইফা ইবনে ওমরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন—আলেম লেখক ও বুদ্ধিজীবী কবি মুসা আল হাফিজ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম, মহাসচিব ড. মুস্তাফিজুর রহমান ফয়সাল, আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী হাসান জুনায়েদ, বাড্ডা কামিল মাদরাসার লেকচারার মাওলানা মাহমুদুল হাসান প্রমূখ।
মুসা আল হাফিজ বলেন, “ইসলামপন্থীরা জুলাই অভ্যূত্থানে শুধু অংশ নেননি—তারা এই অভ্যুত্থানের চিন্তা নির্মাণ করেছেন, সংগঠিত করেছেন এবং বুলেটের মুখে রাজপথে দাঁড়িয়েছেন। জুলাইয়ের ১৮ তারিখে যখন আন্দোলন কেবল কোটা ইস্যুতে সীমাবদ্ধ ছিল, তখনই আমি লেখনীর মাধ্যমে হাসিনা পতনের রূপরেখা দিয়েছি, যা জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়। অথচ আজ ইসলামপন্থীদের অবদানকে পরোক্ষভাবে অস্বীকারের চেষ্টা হচ্ছে।”
মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন বলেন, “শাপলার আন্দোলনে দেশে ইসলামপন্থার যে উত্থান হয়েছিল, জুলাই অভ্যূত্থান ও বিজয়োল্লাসে আমরা তার সুস্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ দেখেছি।”
ড. মুস্তাফিজুর রহমান ফয়সাল বলেন, “ইসলামপন্থীরা সবসময় নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ায়। তারা ব্যক্তিগত লাভ-ক্ষতির হিসাব না করে জালেমের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে—যেমনটি শাপলা ও জুলাই আন্দোলনে হয়েছে। কিন্তু নিজেদের স্বার্থ ও অবস্থান বিবেচনায় এখন আমাদের আরও কৌশলী হতে হবে।”
আলী হাসান জুনায়েদ বলেন, “ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী ন্যারেটিভ প্রচুর, কিন্তু তাদের অবদান নিয়ে পর্যাপ্ত কনটেন্ট নেই। আমাদের সেই শূন্যতা পূরণে কাজ করতে হবে। আমি মাদ্রাসায় না পড়লেও শাপলা আন্দোলনে ছিলাম, গুলি খেয়েছি—সেটি ছিল তৌহিদী জনতার সর্বজনীন আন্দোলন।”
গোলটেবিল বৈঠকের সূচনা বক্তব্য দেন সভাপতি পরিষদ সদস্য মাওলানা আশরাফ মাহদী। এছাড়া বক্তব্য রাখেন—সভাপতি পরিষদ সদস্য মাওলানা মাবরুরুল হক, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা নূহ বিন হুসাইন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল করীম নোমানী এবং সহ অর্থ সম্পাদক মাওলানা মাহমুদ হাসান।
হাআমা/