জামায়াতের মহানগর সেক্রেটারির ভয়াবহ সাহাবাবিদ্বেষী বক্তব্য, আশরাফ মাহদীর তীব্র প্রতিবাদ

by naymurbd1999@gmail.com

জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদের সম্প্রতি একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সে বক্তব্যে তিনি বলেছেন, ‘ইসলাম গ্রহণ করার আগে উমর রা. কী ছিল? সবচেয়ে জঘন্য মানুষ ছিল, পশু ছিল। (নাউজুবিল্লাহ) ইসলামী ছাত্রশিবিরের বানানো কোনো হিস্ট্রি না এটা’।

তিনি আরো বলেছেন, ‘সেই উমর যখন ইসলাম গ্রহণ করলো, সুন্দরী, যুবতী, সুসজ্জিত নারী রাতে তার সামনে হাজির। এক সুন্দরী নারী যখন তাকে দেখলো সে থরথর করে কাঁপতে শুরু করলো। বললো, তোমার হাত থেকে নিস্তার পাওয়ার তো কোনো উপায় নাই, আমার স্বর্ণ গহনাদি নিয়ে আল্লাহর ওয়াস্তে আমার ইজ্জত রক্ষা করো’।

বিজ্ঞাপন
banner

শফিকুল ইসলাম মাসুদের ভয়ংকর সাহাবাবিদ্বেষী ও চরম মিথ্যা এ বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে এনসিপি নেতা মাওলানা আশরাফ মাহদী তার ফেসবুক পেজে বলেছেন, ‘এ উক্তির মাধ্যমে সরাসরি হযরত উমর রা. কে নারীলিপ্সু চরিত্রের দিকে ইংগিত করা হয়।

হযরত ওমর ফারুক রা. ইসলামের স্বর্ণযুগের একজন নীতিবান শাসক ও সম্মুখসমরের বীর হিসেবে সুপরিচিত। একজন আদর্শ মানুষ হিসেবেও তিনি বহু মুসলিম যুবকের স্বপ্নপুরুষ হয়ে অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন আজীবন।

হাদিসে তার সাহসিকতার গল্পগুলো পড়ে আমরা মুসলমানদের স্বকীয়তা, আত্মপরিচয় ও ব্যক্তিত্ব গঠনের সবক পেতাম। এগুলো ইসলাম গ্রহণের আগ থেকেই তার মধ্যে ছিল। ইতিহাস ও তার জীবনী পড়ে এমন তথ্যই সুনিশ্চিতভাবে জানা যায়।

আরবের সে সময়কার ইতিহাস সম্পর্কে সামান্যতম পড়াশোনা যাদের আছে তারাও জানেন যে উমর রা. ইসলাম গ্রহণের আগে থেকেই স্বভাবজাতভাবেই আরবের তৎকালীন জাহালাত থেকে দূরে ছিলেন। তার সততা ও সাহসিকতার কারণে রাসুলুল্লাহ সা. নিজেই তার ইসলাম গ্রহণের মাধ্যমে ইসলামকে শক্তিশালী করার জন্য দোয়া করেছেন। যদি নীতি নৈতিকতার ঘাটতিই থাকতো তাহলে রাসূলুল্লাহ সা. তার ব্যক্তিত্বের প্রতি মুগ্ধ হওয়ার প্রশ্নই আসে না।

সেই ওমর রা এর ব্যাপারে যখন এ ধরণের বানোয়াট কিচ্ছাকাহিনী সমাবেশের বক্তৃতার জোর গলায় বলে ফেলেন একটি ইসলামী দলের সিনিয়র দায়িত্বশীল, তখন তার ইসলামী জ্ঞানের দৈন্যতাই ধরা পড়ে। ইতিহাসের কোনো গ্রন্থ থেকেই হযরত উমরের রা. ব্যাপারে এ ধরণের তথ্য পাওয়া যায় না। এটা সুস্পষ্টভাবে সাহাবাদের শানে বেয়াদবী।

সাহাবায়ে কেরামের ব্যাপারে বানোয়াট কথাবার্তা বলে তাদের শানে বেয়াদবি করার পর ভুল ধরিয়ে দিলে শর্তহীন ক্ষমা চাইতে হবে। এটাই ঈমানের তাকাযা।

এভাবে হঠকারী বক্তব্য দিয়ে যদি কেউ পার পেয়ে যায় তাহলে ‘বস্তুনিষ্ঠ সমালোচনা’র অজুহাতে আবার সাহাবাদের শানে অযাচিত মন্তব্যের চর্চা শুরু হতে পারে। যার ফলে মিয়ারে হকের মানদণ্ড প্রশ্নের মুখে পড়বে। আকায়েদ ও ফিকহী মাসায়েলের ক্ষেত্রে আবারো অক্ষরবাদীতার ফিতনা মাথাচাড়া দেওয়ার পরিবেশ তৈরী হবে।’

এআইএল/

 

banner

এ জাতীয় আরো সংবাদ

প্রকাশক: আবু সায়েম খালেদ
পরিচালক: এইচ. এম. মুহিউদ্দিন খান
আসকান টাওয়ার, ৬ষ্ঠ তলা, ১৭৪ ধোলাইপাড়
যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪
ইমেইল: info@36news24.com
ফোন: 01401 400222