ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটোরিয়ামে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আয়োজনে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীনবরণ ও ক্যারিয়ার গাইডলাইন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম (শায়খে চরমোনাই) বলেছেন, ‘ইসলাম রাষ্ট্রক্ষমতায় এলে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার নিশ্চিত হবে।’
তিনি বলেন, বর্তমানে আত্মপরিচয়ের সংকট চলছে। মুসলমানদের আত্মপরিচয় হীনমন্য করে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু মার্ক্সবাদ-মাওবাদের নামে স্লোগান দেওয়া হলে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের নামে স্লোগান তুলতে দ্বিধা থাকার কথা নয়। শালীন পোশাক পরিধানকে গর্বের সঙ্গে ধারণ করার আহ্বান জানান তিনি।
দেশের প্রধান সমস্যা হিসেবে দুর্নীতিকে চিহ্নিত করে শায়খে চরমোনাই বলেন, শিক্ষিতরাই দুর্নীতি করছে। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা নৈতিক মানুষ তৈরি করতে ব্যর্থ হচ্ছে। আবরার ফাহাদের হত্যার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, মেধাবী হয়েও অসৎ সঙ্গের কারণে শিক্ষার্থীরা খুনিতে পরিণত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ১৯৪৭ সালের স্বাধীনতা ছাড়া ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা সম্ভব হতো না। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধেও মানুষ ইসলামকে ধারণ করেই স্বাধীনতা অর্জন করেছে। তাই মুসলিম পরিচয়কে গৌরবের সঙ্গে প্রকাশ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের ঢাবি শাখার সভাপতি মু. আবু বকর সিদ্দিক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ইফতেখার তারিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমআইএস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম অপু এবং এমএইচ গ্লোবাল গ্রুপের কান্ট্রি ডিরেক্টর জহিরুল ইসলাম। প্রধান বক্তা ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মুন্তাসির আহমদ।
দুপুর ২টা থেকে শুরু হওয়া নবীনবরণে নবীন শিক্ষার্থীদের উপহার দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। আছরের পর থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়, যেখানে কলবরসহ জাতীয় সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো অংশগ্রহণ করে।
অনুষ্ঠান থেকে আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের প্যানেলও ঘোষণা করা হয়। এতে ইয়াসিন আরাফাতকে ভিপি, খায়রুল আহসান মারজানকে জিএস এবং সাইফ মুহাম্মাদ আলাউদ্দিনকে এজিএস প্রার্থী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন মুফতি ফয়জুল করীম।
হাআমা/