স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা মোকাবেলা করছে পাকিস্তান। বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে খাইবার পাখতুনখোয়াসহ দেশটি বিস্তীর্ণ এলাকা। বন্যায় ৬৫০ ছাড়িয়েছে মৃতের সংখ্যা। খবর জিও নিউজের।
পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) জানিয়েছে, ২৬ জুন থেকে বন্যায় সারাদেশে কমপক্ষে ৬৫৭ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ৯২০ জনের বেশি মানুষ।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ। নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার তৎপরতা চলছে। এখন পর্যন্ত ৩৭৩টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ভারী বৃষ্টিপাতে মারদান শহর এবং এর উপকণ্ঠ প্লাবিত হয়েছে। সোয়াবিতে বৃষ্টির পানি নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করেছে, যা ঘরবাড়ি এবং দোকানপাটে প্রবেশ করেছে। সোয়াতের মিঙ্গোরায়, মুষলধারে বৃষ্টিপাতের ফলে দৈনন্দিন জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সেতু ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় বুনেরে ত্রাণ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
অবিরাম বর্ষণে পাঞ্জাবের মুলতান, কবিরওয়ালা, ঝাং এবং খুশব ব্যাহত হচ্ছে জীবনযাত্রা। ভাক্কর এবং মিয়ানিতে আশেপাশের এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে, পাঞ্জাবের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা (পিডিএমএ) জানিয়েছে, রোববার থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত সারা প্রদেশে আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
এআইএল/