যশোরে সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাস পরিকল্পনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি। দলটির নেতারা একে ‘নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্র’ হিসেবে দেখছেন। একজন বিতর্কিত ব্যক্তির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন যদি এমন সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে তা জনগণ মেনে নেবে না বলে দলটি হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
বুধবার (২০ আগস্ট) বেলা ১২টায় প্রেসক্লাব যশোরের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপি নেতারা।
এর আগে যশোর-৩ আসনের সাধারণ ভোটারদের ব্যানারে একই ইস্যুতে জেলা নির্বাচন অফিস ঘেরাও করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম, জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, মিজানুর রহমান খান, গোলাম রেজা দুলু, আব্দুস সালাম আজাদ, রবিউল ইসলাম, শহিদুল বারী রবু, মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, আনজারুল হক খোকন, কাজী আজম, সিরাজুল ইসলাম, তমাল আহমেদ, আনসারুল হক রানা প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, যশোরের আসনভিত্তিক এলাকাগুলোর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে একটি সামাজিক ও নির্বাচনি সম্প্রীতি রয়েছে। ভোটারদের মাঝে পারিবারিক পরিবেশ গড়ে উঠেছে। যা এই পুনর্বিন্যাসের মাধ্যমে ভেঙে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়। জনগণের মতামত উপেক্ষা করে একতরফাভাবে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ আইন, সংবিধান এবং গণতান্ত্রিক রীতিনীতির পরিপন্থী। আমরা কোনো অবস্থাতেই এ ধরনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অপচেষ্টা মেনে নেব না।
সংবাদ সম্মেলনের আগে ‘যশোর-৩ আসনের সাধারণ জনগণের’ ব্যানারে সীমানা নিয়ে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে গণমিছিল বের হয়। তারা জেলা নির্বাচন অফিস ঘেরাও করে প্রধান নির্বাচন কমিশন বরাবর স্মারকলিপি দেয়। এই কর্মসূচিতে কয়েক হাজার মানুষ যোগ দেন। পরে জেলা নির্বাচন অফিসারের মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি যশোরের অভয়নগর উপজেলার বাসিন্দা সুকৃতি মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি যশোর-৩ ও ৬ সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশন বরাবর আবেদন করেন। এ বিষয়ে আগামী ২৫ আগস্ট শুনানির দিন রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে আবেদন করার পরও নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে শুনানির দিন নির্ধারণ করেছে এবং এটিকে নির্বাচন বিলম্বের ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে যশোর বিএনপি।
এআইএল/