৩৬নিউজ প্রতিবেদন>>
প্রকাশিত হচ্ছে আদিব হুজুরখ্যাত শিক্ষাবিদ ও গবেষক আলেম মাওলানা আবু তাহের মিসবাহ’র ‘কোরআনুল কারীমের তারজুমানী।’
জানা যায়, দু’একদিনের মধ্যেই পাঠকের হাতে পৌঁছবে কুরআনুল কারিমের অনবদ্য, পূর্ণাঙ্গ এই বঙ্গানুবাদ। বর্তমানে গ্রন্থটি ছাপার জন্য প্রেসে রয়েছে।
এদিকে ‘কোরআনুল কারীমের তারজুমানী’ নিয়ে ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ-উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। মাওলানা আবু তাহের মিসবাহ’র পাঠকরা অপেক্ষা করছেন কখন ছুঁয়ে দেখবেন নতুন মলাটের বইটি।
মাওলানা আবু তাহের মিসবাহ’র অনুবাদ মানেই কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের কাছে ভিন্নএক পাওয়া। তার অনূদিত বেশকিছু বই ব্যাপক পরিমাণে ইতোমধ্যেই পাঠক প্রিয়তা পেয়েছে।
মাওলানা আবু তাহের মিসবাহ’র অনূদিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে- কবুল করুন আপনার আমানত (মূল: কালিম সিদ্দিকী), তোমাকে ভালবাসি হে নবী (মূল: গুরুদত্ত সিং), মুসলিম উম্মাহর পতনে: বিশ্বের কী ক্ষতি হলো? (মূল: আবুল হাসান আলী হাসানী নদভী), তালিবে ইলমে জীবন পথের পাথেয় (মূল: আবুল হাসান আলী হাসানী নদভী), কাসাসুন নাবিয়্যিন (মূল: আবুল হাসান আলী হাসানী নদভী), সংগ্রামী সাধকদের ইতিহাস (মূল: আবুল হাসান আলী হাসানী নদভী), আরকানে আরবাআ (মূল: আবুল হাসান আলী হাসানী নদভী), প্রাচ্যের উপহার (মূল: আবুল হাসান আলী হাসানী নদভী), হযরত আলী রা. জীবন ও খিলাফত (মূল: আবুল হাসান আলী হাসানী নদভী), ইতিহাসের কাঠগড়ায় হযরত মুআবিয়া রা. (মূল: মুহাম্মদ তাকি উসমানি), আমার স্মৃতি – কিছু সুখের, কিছু দুঃখের (মূল: মুহাম্মদ তাকি উসমানি), মাযহাব কী ও কেন? (মূল: মুহাম্মদ তাকি উসমানি), মাকামে ছাহাবা ও কারামাতে ছাহাবা (মূল: আশরাফ আলী থানভী ও মুহাম্মদ শফি উসমানি), দুহাল ইসলাম (ইসলামের দ্বিপ্রহর) (মূল: আহমদ আমিন), আমার স্মৃতি কিছু সুখের, কিছু দুঃখের ১ম, ২য় খণ্ড (মূল: আল্লামা তাক্বি উসমানি) ইত্যাদি।
মাওলানা আবু তাহের মিসবাহ ১৯৫৬ সালের ৬ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মিছবাহুল হক। পৈতৃক বাড়ি কুমিল্লায় হলেও প্রজ্ঞাবান এই আলেম বড় হোন ঢাকায়। জামিয়া কুরআনিয়া আরাবিয়া লালবাগ, জামিয়া নূরিয়া ইসলামিয়ায় পড়ার পর ১৯৭৭ সালে তিনি আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়া থেকে দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) সমাপ্ত করেন।
গবেষক এই আলেমের কর্মজীবনের সূচনা হয় জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়ায় শিক্ষক হিসেবে। পরবর্তীতে তিনি জামিয়া নূরিয়া ইসলামিয়ায় প্রায় ২৫ বছর শিক্ষকতা করেন। তখন থেকে তিনি মাদানি নেসাবের জন্য পরীক্ষামূলক পাঠ্যবই রচনা শুরু করেন। ১৯৯২ সালে তার চিন্তাধারার আলোকে মাওলানা আবদুল হাই পাহাড়পুরী রহ. এর তত্ত্বাবধানে তিনি মাদরাসাতুল মাদীনা প্রতিষ্ঠা করেন।
বর্তমানে মাদরাসারতুল মাদীনা ইসলামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে সারাদেশে বেশ আলোড়ন তৈরি করেছে। প্রতিষ্ঠানটিকে একটি আদর্শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে মনে করে থাকেন দেশের চিন্তক আলেম সমাজ।
এএ/