ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস এবং ইসরাইলের মধ্যে ৪৬৮ দিনব্যাপী যুদ্ধের পর যুদ্ধবিরতি ও বন্দীবিনিময় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তির প্রথম ধাপে, হামাস আজ মুক্তি দিচ্ছে ৩৩ ইসরাইলি বন্দীকে। বন্দীদের নাম ইসরাইলের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাস যে তালিকা প্রকাশ করেছে তাতে ইসরাইলি বন্দীদের নাম রয়েছে, যারা কয়েক মাস আগে হামাস কর্তৃক অনুমোদিত এবং ইসরাইলও এই তালিকাটি হামাসকে দিয়েছিল।
এদিকে, বন্দীদের মুক্তির তালিকায় উল্লেখযোগ্য ৩৩ জন ইসরাইলি বন্দীর মধ্যে রয়েছেন লিরি আলবাগ, ইতজাক এলগারাত, করিনা আরিয়েভ, ওহাদ বেন আমি, এবং আরও অনেকে। বন্দীদের পরিবারের সদস্যদের ইতোমধ্যে এই বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।
যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পরেও ইসরাইলি বাহিনী বিমান হামলা অব্যাহত রাখলেও, চুক্তিটি রোববার থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে এবং এটি তিনটি ধাপে কার্যকর হবে। প্রথম ধাপে হামাসের বন্দী ৩৩ ইসরাইলির মুক্তির পর, ফিলিস্তিনিদেরও মুক্তি দেওয়া হবে এবং গাজ্জার এলাকায় ইসরাইলি বাহিনী তাদের অবস্থান সরে যাবে।
চুক্তির দ্বিতীয় ধাপে আরও বন্দী মুক্তি এবং “টেকসই শান্তি” প্রতিষ্ঠার জন্য ইসরাইলি সেনাদের প্রত্যাহারের বিষয়টি আলোচনা হবে। তৃতীয় ধাপে গাজ্জার পুনর্গঠন নিয়ে আলোচনা হবে, যা দীর্ঘ সময় নিতে পারে। তবে, হামাসের হাতে বন্দী থাকা অন্যদের মুক্তির বিষয়টিও আলোচনা হতে পারে।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আল সানি জানিয়েছেন, কাতার, মিসর ও আমেরিকা এই চুক্তির বিষয়গুলোতে সহায়তা করেছে এবং তারা ইসরাইল ও হামাসকে চুক্তির শর্ত অনুসরণ করতে সহায়তা করবে।