রাষ্ট্র সংস্কারে আলেম সমাজের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক আলহাজ এ এম এম বাহাউদ্দীন।
তিনি বলেন, আমাদের ক্ষয়ে যাওয়া সমাজ ঠিক করতে হলে আলেম সমাজের বিকল্প নেই। এ জন্যে আলেম সমাজের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। মূলত সমাজটা নষ্ট করেছেন রাজনীতিবিদরা। তারা আল্লাহর ওলিদের অবমাননা করেছেন। ড. ইউনুছ সাহেবের মত ১০০ ভাগ ভালো লোকের পক্ষে আমাদের সমাজ ব্যবস্থা সঠিক পথে নেওয়া সম্ভব হবে না। কেননা এই সমাজ এতটাই নষ্ট হয়ে গেছে, ঠিক করা আলেমদের দারাই সম্ভব। তাই আমি বলবো রাষ্ট্র মেরামতের কাজ আলেম সমাজের হাতে দেওয়া হোক।
১৭ জানুয়ারি (শুক্রবার) চাঁদপুর ইসলামপুর দরবার শরীফের ৮১ তম ইছালে ছাওয়াব মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, হিন্দু, মুশরিক, কাফেরদের রাজা-বাদশারা এতদ্বঅঞ্চল শাসন করেছিলেন। সেখান থেকে ডজন ডজন আল্লাহর ওলিগণের দাওয়াতে আজ হাজার কোটি মানুষের মধ্যে শত কোটি মুসলমান। কয়েক ডজন ওলিগণ সমাজটা তৈরি করে গেছেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে ভালো মানুষের অভাব। ড. ইউনুস সাহেবের মত যদি ১০০ জন মানুষও সামনে থাকেন তাও সম্ভবপর হবে না। মানুষের কোয়ালিটি যে পর্যায়ে ডেটরিয়েট হয়ে গেছে। মানুষ যে পর্যায়ে খারাপ হয়ে গেছে। ড্রাগস থেকে শুরু করে বেহায়া, বেহাল্লেপনা, মিথ্যাচার, ঠকবাজি, ধোঁকাবাজিতে ভরে গেছে। ড. ইউনুস সাহেব এদেরকে সঠিক পথে আনতে পারছেন না। এই কাজটি একমাত্র করতে পারবেন তারাই, যারাই এই সমাজ তৈরি করে গিয়েছিলেন। অর্থাৎ আলেম সমাজ। গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে একটি মক্তব তৈরী করে নামাজের জায়গায় বসে মানুষকে সঠিক পথের দিশা দিতেন।
ইনকিলাব সম্পাদক বলেন, বিয়ে থেকে এখন তালাক বেশি হয়ে গেছে। ঘরে ঘরে অশান্তি। এতে মাদরাসা শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব বেড়েছে। কারণ তারাই সুখে থেকে শান্তিতে ঘর সংসার করছে, সমাজকে লিড দিচ্ছে। গার্মেন্টস কিংবা কর্পোরেট হাউসে যারা চাকরি বাকরি করছেন তারা কিন্তু ঘর সংসার করতে পারছেন না। সমাজ তৈরি করতে পারছে না। টাকা পয়সা রোজগার করছেন। এতে নিজেদের জীবনে যেমন সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে তেমনি সমাজের জন্য ক্ষতি বয়ে আনছেন। শুধুমাত্র একজন মানুষ তৈরি মনোভাব নিয়ে মাদরাসা শিক্ষার প্রতি সবাই এখন গুরুত্ব আরোপ করছেন। এ মনোভাব পরিবর্তনে আলেম সমাজের গুরুত্ব অপরিসীম।
তিন দিনব্যাপী এ মাহফিলের বয়ান করেন ভারতের ফুরফুরা দরবার শরীফের আব্দুল্লাহিল মারুফ ছিদ্দিকী আল কোরাইশী, মাওলানা মো. রুহুল আমিন আফসারী, মাওলানা নেছার আহমাদ, পীরজাদা মাওলানা মু. কুতুবুল আজম খান, মাওলানা শরীফ হাবিবুর রহমান যুক্তিবাদী, মাওলানা মাজহারুল ইসলাম, মাওলানা আমীর হোছাইন, মাওলানা মো. মাহবুবুর রহমান, হযরত মাওলানা মুহাম্মদ বেলাল হোসাইন চিশতী, মাও. মিজানুর রহমান, মাও. হোসাইন আহমেদ খলিফা, হাফেজ শাহ রহমতুল্লাহ, হাফেজ মোস্তফা ও হাফেজ মাও. মাকসুদুর রহমানসহ স্থানীয় ওলামায়ে কেরামগণ।
এমএনএকে/