ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গণহত্যায় জড়িত সকলের ফাঁসির দাবিতে এবার আমরণ অনশনের ডাক দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ। জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, চট্টগ্রাম।
কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ বলেন, ‘চব্বিশের রক্তক্ষয়ী জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মুক্তিকামী ছাত্র-জনতার ওপর বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডপরিচালনাকারী খুনি হাসিনাসহ সকল হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে আমরা আমরণ অনশনের ডাক দিয়েছি।
আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে যারা জুলাই আন্দোলনে আমাদের ভাই-বোনদের ওপর গুলি চালিয়েছে তাদের বিচারের জন্য যতদিন দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে না আমরা এখান থেকে উঠব না। যে জন্য আমাদের ভাইয়েরা শহীদ হয়েছেন, মানবিক এবং বৈষম্যহীন রাষ্ট্র বিনির্মাণ করতে হবে।’
অনশনকারীদের আট দফা দাবি হলো
শেখ হাসিনাসহ পালিয়ে যাওয়া সবাইকে দেশে ফিরিয়ে এনে হত্যার ঘটনায় বিচার করতে হবে। বিচারের ক্ষেত্রে যতক্ষণ দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া না হবে, বিচারের বিষয়ে আশ্বস্ত করা না হবে, ততক্ষণ অনশনে থাকবেন তাঁরা; দ্রুত বিচার আইনে বিভাগীয় ট্রাইব্যুনাল গঠন করে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ও উসকানিদাতাদের গ্রেপ্তার-বিচার করতে হবে।
; শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত এনে বিচার করতে হবে।; জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র রাষ্ট্রীয়ভাবে ঘোষণা করতে হবে।; সব হত্যা, গুম, খুন, ধর্ষণ, অপরাধ ও নির্যাতনের বিচার করতে হবে।; আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।
; আওয়ামী লীগ নেতাদের অবৈধভাবে অর্জিত সব অর্থ ও সম্পদ রাষ্ট্রীয়ভাবে বাজেয়াপ্ত করতে হবে। বিদেশে পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে হবে।; জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে শহীদ পরিবার ও আহতব্যক্তিদের জীবনের দায়িত্ব রাষ্ট্রকে গ্রহণ করতে হবে।; নতুন সংবিধান প্রণয়ন করাসহ রাষ্ট্রের যাবতীয় গণতান্ত্রিক সংস্কারের রূপরেখা প্রদান করতে হবে।
এএ/