বইমেলায় ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে শিক্ষার্থীদের মারধর এবং উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের উসকানিমূলক বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে বলে জানিয়েছেন চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী সংগঠন ‘সাধারণ আলেম সমাজ’।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় সদস্য মুহাম্মদ ইউসুফ আহমাদ সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলা একাডেমির অমর একুশে বইমেলায় তসলিমা নাসরিনের নিষিদ্ধ বই রাখা এবং “জয় বাংলা মুক্তি পাক, মৌলবাদ নিপাত যাক” ধরণের উসকানিমূলক বার্তা দিয়ে বিতর্ক তৈরির পর যখন সচেতন নাগরিকরা এর প্রতিবাদ জানায়, তখন সব্যসাচী’র লেখক শতাব্দী ভব পুলিশের সামনেই প্রতিবাদকারীদের ওপর মারমুখী হয়। এরপর উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ঘটনার কোনো নিরপেক্ষ তদন্ত না করেই একতরফাভাবে প্রতিবাদকারীদের ‘তওহিদি জনতা’ বলে ব্যঙ্গ করেন এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে হুমকি দেন।
সাধারণ আলেম সমাজ এ ধরনের উসকানিমূলক ও বিভাজন সৃষ্টিকারী বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানায়। একদিকে বইমেলায় বিতর্কিত নিষিদ্ধ বই রাখা হয়, অন্যদিকে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেই হুমকির ভয় দেখানো চরম ফ্যাসিবাদী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ।
আরও উল্লেখ করা হয়, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনে অমর একুশে বইমেলা জনগণের, কোনো নির্দিষ্ট মতাদর্শের প্রচারকেন্দ্র নয়। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাই, অবিলম্বে বইমেলায় উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে। সেই সাথে তসলিমা নাসরিনের নিষিদ্ধ বই মেলায় কীভাবে ঢুকল, তা খতিয়ে দেখতে হবে এবং উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের পক্ষপাত ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহার করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এ দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষকে ‘মব’ বা অন্য শব্দে ট্যাগিং করে একতরফা আক্রমণ সহ্য করা হবে না। তওহিদি জনতার প্রতি বিদ্বেষপ্রসূত আচরণ বন্ধ করতে হবে, নইলে জনগণের ন্যায্য প্রতিরোধ অনিবার্য।
এনএ/