তাইওয়ানে প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত

by Kausar Labib

তাইওয়ানের বিমানবাহিনী শনিবার এক দুর্ঘটনার পর তাদের সব প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানের উড্ডয়ন সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে। একটি প্রশিক্ষণ বিমানের ‘উভয় ইঞ্জিন বিকল’ হয়ে গেলে সেটি বিধ্বস্ত হয়। তবে পাইলট নিরাপদে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন।

বিমানবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, স্থানীয়ভাবে নির্মিত ব্রেভ ঈগল যুদ্ধবিমানটি দক্ষিণ তাইওয়ানের তাইতুং কাউন্টির চিহ হ্যাং বিমানঘাঁটি থেকে স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে উড্ডয়ন করার পর বিধ্বস্ত হয়।

বিজ্ঞাপন
banner

পাইলটের পরিচয় মেজর লিন হিসেবে নিশ্চিত করা হয়েছে। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তিনি সুস্থ আছেন এবং তার কোনো আঘাত লাগেনি। তার মোট ১৮৩ ঘণ্টার ফ্লাইট অভিজ্ঞতা ছিল বলেও বিমানবাহিনী জানিয়েছে।

বিমানবাহিনী আরো জানিয়েছে, যুদ্ধবিমানটির ‘উভয় ইঞ্জিন বিকল’ হয়ে পড়ার কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। তবে বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে, যারা ঘটনার প্রকৃত কারণ নির্ধারণ ও প্রশিক্ষণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করবে। এ ছাড়া দুর্ঘটনার পর সব ব্রেভ ঈগল উন্নত প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান (এজেটি) নিরাপত্তা যাচাইয়ের জন্য সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।

তাইওয়ানের নিজস্ব প্রতিরক্ষা শিল্প রয়েছে এবং দেশটি তার সামরিক সরঞ্জাম উন্নত করছে।

তবে সম্ভাব্য চীনা হামলার বিরুদ্ধে নিরাপত্তা জোরদার করতে এখনো যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র সরবরাহের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ডের অংশ বলে দাবি করে এবং প্রয়োজনে বলপ্রয়োগের হুমকি দিয়ে আসছে।
ব্রেভ ঈগল যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের এয়ারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন নির্মাণ করে এবং ২০২০ সালে এটি প্রথম পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন করে। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে তাইওয়ান তার মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমান বহর সাময়িকভাবে স্থগিত করেছিল, যখন একটি বিমান সাগরে বিধ্বস্ত হয়। তাইওয়ান ১৯৯২ সালে ফ্রান্সের সঙ্গে অস্ত্র চুক্তির মাধ্যমে মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমান সংগ্রহ করে, যা চীনের তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছিল।

এগুলো এখনো দ্বীপের পুরনো বিমানবহরের অন্যতম প্রধান অংশ, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান এবং স্থানীয়ভাবে নির্মিত ইন্ডিজেনাস ডিফেন্স ফাইটারস (আইডিএফ) অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এদিকে তাইওয়ানের সামরিক বাহিনী চীনের ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে রয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন তাইওয়ানের চারপাশে যুদ্ধবিমান ও রণতরির অনুপ্রবেশ বাড়িয়েছে, যা সামরিক বিশ্লেষকদের মতে ‘গ্রে-জোন কৌশল’ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে, যার লক্ষ্য তাইওয়ানের সামরিক বাহিনীকে ধীরে ধীরে দুর্বল করা। স্থানীয় সময় শনিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে তাইওয়ানের আশপাশে ১৯টি চীনা সামরিক বিমান, আটটি নৌযান, একটি সরকারি জাহাজ এবং একটি বেলুন শনাক্ত করা হয়েছে বলে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে শনিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, তিনি আশা করেন, বিরোধী দল নিয়ন্ত্রিত পার্লামেন্ট প্রতিরক্ষা বাজেটের যেসব অংশ স্থগিত বা কমানো হয়েছে সেগুলো সংশোধন করবে, যাতে ‘আমরা সামরিক বাহিনীর প্রতি পূর্ণ সমর্থন নিশ্চিত করতে পারি।’

তিনি আরো বলেন, ‘চীনের হুমকির মুখে আমাদের সামরিক বাহিনী সাহসিকতার সঙ্গে দেশ রক্ষা করছে।’

সূত্র : এএফপি

এএ/

banner

এ জাতীয় আরো সংবাদ

প্রকাশক: আবু সায়েম খালেদ
পরিচালক: এইচ. এম. মুহিউদ্দিন খান
আসকান টাওয়ার, ৬ষ্ঠ তলা, ১৭৪ ধোলাইপাড়
যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪
ইমেইল: info@36news24.com
ফোন: 01401 400222