পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ (১৪ মার্চ)। ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার পৈতৃক নিবাস একই জেলার গোবিন্দপুর গ্রামে। পিতা আনসারউদ্দীন মোল্লা ছিলেন একজন স্কুলশিক্ষক।
পল্লীকবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় রাজধানীর কমলাপুরে তাঁর বাড়িতে বক্তৃতা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আয়োজিত এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কবি শাহজাহান আবদালী। আলোচনা সভায় পল্লীকবির কর্মময় জীবন নিয়ে আলোচনা করেন দেশের নবীন-প্রবীণ কবি-সাহিত্যিকসহ শিক্ষাবিদগণ।
জসীমউদ্দীনের কবিত্ব শক্তির প্রকাশ ঘটে ছাত্রজীবনেই। কলেজজীবনে ‘কবর’ কবিতা রচনা করে তিনি বিপুল খ্যাতি অর্জন করেন।
১৯৩৮ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে লেকচারার পদে যোগদান করেন। ১৯৪৩ সাল পর্যন্ত চাকরি করার পর ১৯৪৪ সাল থেকে তিনি প্রথমে বঙ্গীয় প্রাদেশিক সরকার এবং পরে পূর্ব পাকিস্তান সরকারের প্রচার বিভাগের কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬২ সালে এখান থেকে ডেপুটি ডাইরেক্টর হিসেবে অবসরগ্রহণ করেন।
জসীম উদ্দীন বাংলাদেশ সরকারের একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারে (মরণোত্তর, ১৯৭৮) ভূষিত হন।
এদিকে ফরিদপুরে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পল্লীকবি জসিম উদ্দিনের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকাল ১০টায় কবির বাড়ির আঙ্গিনায় জেলা প্রশাসন ও জসিম ফাউন্ডেশনের আয়োজনে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠন।
ফরিদপুর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মিন্টু বিশ্বাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন, জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্যা, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল জলিল, কবিপুত্র খুরশিদ আনোয়ার প্রমুখ।
এ সময় কবিকে স্মরণীয় করে রাখতে তার গল্প, কবিতা, উপন্যাস চর্চার তাগিদ দেন বক্তারা। পরে কবির রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
এআইএল/