দক্ষিণ কোরিয়ায় ভয়াবহ দাবানলে এখন পর্যন্ত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির কর্তৃপক্ষ একে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানল বলে ঘোষণা করেছে। দাবানল এতটাই দ্রুত ছড়াচ্ছে যে, নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছেন দমকলকর্মীরা।
২৭ মার্চ ( বৃহস্পতিবার) এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর গিয়ংসাং প্রদেশের সানচেওং কাউন্টিতে শুক্রবার রাতে শুরু হওয়া আগুনে ইতোমধ্যে প্রায় ৮১,৫০০ একর জমি পুড়ে গেছে, যা ২০০০ সালের আগের ভয়াবহ দাবানলের চেয়েও বেশি। দাবানল নিয়ন্ত্রণে ১২০টির বেশি হেলিকপ্টার ও প্রচুর দমকল কর্মী কাজ করছে, তবে তীব্র বাতাস ও শুষ্ক আবহাওয়ায় আগুন নেভানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
দেশটির প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ পর্যন্ত চারজন দমকলকর্মী ও একজন হেলিকপ্টার পাইলটসহ বহু সরকারি কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। দাবানলের ভয়াবহতা বাড়তে থাকায় ৩০ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে এই দাবানলে ইতিহাস ও সংস্কৃতির অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। উইসংয়ের গৌনসা বৌদ্ধ মন্দিরের ৩০টি কাঠামোর অর্ধেক পুড়ে গেছে, যার মধ্যে দুটি রাষ্ট্র-ঘোষিত ঐতিহাসিক স্থাপনা রয়েছে। এছাড়াও আন্দং কাউন্টির ইউনেস্কো স্বীকৃত হাহো ফোক ভিলেজও আগুনের ঝুঁকিতে পড়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার জানিয়েছে, দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার বিশেষ জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান ডাক-সু বলেছেন, ‘এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে জাতীয়ভাবে আমাদের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে হবে।’
এআইএল/