ভারতে এবার ১২৮-৯৫ ভোটে রাজ্যসভাতেও পাস হলো ওয়াকফ বিল। এখন দেশটির রাষ্ট্রপতি সই করলেই বিলটি আইনে পরিণত হবে। খবর ডয়চে ভেলের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত চলে রাজ্যসভার বিতর্ক। তবে শেষপর্যন্ত বিরোধীদের আপত্তি সত্ত্বেও রাজ্যসভার ভোটাভুটিতে পাস হয়ে যায় ওয়াকফ বিল।
বিলের পক্ষে ভোট পড়ে ১২৮টি। বিপক্ষে ভোট দেন ৯৫ জন সাংসদ। এরপর বিলটির আইন হতে আর কোনো সমস্যা থাকলো না। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বিলটিতে সই করলেই ৭০ বছরের পুরনো আইন বদলে নতুন আইন চালু হবে।
নতুন বিল বা ওয়াকফ সংশোধনী বিল বর্তমান ওয়াকফ বোর্ডের কাজকে অনকেটাই নিয়ন্ত্রিত করে দেবে।
উল্লেখ্য, ১৯৫৪ সালের এই বিলটির প্রথম সংশোধন হয়েছিল ১৯৯৫ সালে। সেই সময় ওয়াকফ বোর্ডের হাতে আরও ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। তাদের কাজের পরিধি বাড়ানো হয়েছিল। বর্তমান বিলে ঠিক তার উল্টো পথে চলা হয়েছে। ওয়াকফ বোর্ডের ক্ষমতা সংকুচিত করা হয়েছে অনেকটাই।
কীভাবে ভোট হলো?
গতকাল রাজ্যসভাতেও ওয়াকফ বিল নিয়ে রীতিমতো নাটকীয় পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। বিতর্ক চলে মধ্য রাত পর্যন্ত। স্থানীয় সময় রাত ২টা ১৯ মিনিটে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরণ রিজিজু বিলটি ভোটাভুটির জন্য পেশ করেন। ধ্বনি ভোটে বিলটি পাসও হয়ে যায়।
কিন্তু বিরোধীরা ধ্বনি ভোটের বিরোধিতা করেন। ফলে ডিভিশন ভোটের ব্যবস্থা করা হয়। সেই ভোটে ১২৮-৯৫ ভোটে পাস হয়ে যায় ওয়াকফ বিল। এদিন রাজ্যসভায় বিতর্ক শুরু করেন মন্ত্রী কিরণ রিজিজু।
লোকসভার মতো রাজ্যসভাতেও সরকারের বক্তব্য পেশ করেন তিনি। জানান, ওয়াকফ সম্পত্তির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হলো তার মাধ্যমে মুসলিম সমাজের গরিব, অনাথ, শিশু এবং নারীদের উন্নযন। কিন্তু বর্তমান ওয়াকফ বোর্ড অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা করতে ব্যর্থ হয়েছে। সে কারণেই আইনে সংশোধন এনে সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এনএ/