চট্টগ্রামের কুখ্যাত সন্ত্রাসী সাজ্জাদ যিনি কিছুদিন আগে গ্রেপ্তার হয়েছেন এবং গ্রেপ্তার পরবর্তী সময়ে তার স্ত্রী শারমীন আক্তার তামান্না ‘কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা দিয়ে আদালত ও জামিন’ কিনে নেওয়ার কথা বলে দেশের আইন ও নিরাপত্তা সংস্থাকে রীতিমতো অপমানের চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীতি করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন সাংবাদিক জুলকার নাইন সায়ের। উপস্থাপিত তথ্য-প্রমাণে দেখা গেছে, ৫৪৭টি মামলার আগাম জামিনের শুনানিতে বিচারক ১৫০ নম্বর পর্যন্ত শুনানির পর ৩১৩ জনকে ডিঙিয়ে ৪৬৩ নম্বরে থাকা তামান্না শারমিনের সিরিয়ালে চলে যান।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে সায়ের এ কথা জানান। সায়ের তার পোস্টে বলেন, তামান্নাকে আজ আগাম জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট।
তিনি তার পোস্টে আরো বলেন, আশ্চর্যের বিষয় হলো আজ বিজয় ৭১ ভবনের ২৫ নম্বর কোর্টে (৯ম তলায়, বিচারপতি মো. মাহবুব উল আলম এবং বিচারপতি মো. হামিদুর রহমান পরিচালিত) ৫৪৭টি মামলার আগাম জামিনের শুনানি থাকলেও দুপুর ১.১৫ মিনিট পর্যন্ত সিরিয়াল নম্বর ১৫০ পর্যন্ত শুনানি চলে এবং তারপরই বিচারক, সাজ্জাদের স্ত্রী ‘শারমীন আক্তার তামান্না’র মামলায় চলে যান এবং ১ মিনিটের মধ্যেই জামিন মঞ্জুর করে দেন। এরপর তিনি দ্রুততার সঙ্গে আরো কয়েকটি মামলার শুনানি শেষ করেন।
হাইকোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য বলছে, এই কোর্ট ৫৪৭টির মধ্যে মাত্র ৬৩টি মামলার শুনানি করেন আজ এবং ২০ এপ্রিলের আগে আজই কোর্টের শেষ কার্যদিবস ছিল।
একই আদালত আজ আওয়ামী লীগের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নেতাকর্মীকেও আগাম জামিন দেন বলে সূত্রের বরাতে জানা যায়।
সাধারণত আদালত গুরুত্ব বিবেচনায় অর্থাৎ সচরাচর কারো জটিল রোগ বা আপনজন মারা গেলে তখল মূল সিরিয়াল ভেঙে যেকোনো একটি সিরিয়ালের মামলা ধরতে পারে। কিন্তু ১৫০’র পর, ৪৬৩ নম্বরে থাকা তামান্না পারভিনের মামলা ঠিক কোন যৌক্তিকতায় ১ মিনিটে শুনানি শেষ করে আগাম জামিনের সিদ্ধান্ত দিয়ে দেওয়া হলো?
এআইএল/