কর্মসূচি শেষ হওয়ার পরও সোহরাওয়ার্দীমুখী মানুষের স্রোত!

by Nur Alam Khan

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্মম হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে সকাল থেকেই মানুষের স্রোত ঢাকায়। বিকেল সোয়া চারটার দিকে মোনাজাতের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ হলেও তখনও সোহরাওয়ার্দীমুখী স্রোত ছিল প্রতিবাদী মানুষের। এমনকি কর্মসূচি শেষ হওয়ার অনেক পরেও রাজধানীর মহাখালী, বিজয় সরনি, ফার্মগেট এলাকায় দেখা গেছে সোহরাওয়ার্দী অভিমুখে মানুষের স্রোত।

শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় দেখা যায় এক লেন দিয়ে মানুষ সমাবেশস্থল ছাড়ছে, আরেক লেন দিয়ে মানুষ তখনও শাহবাগের দিকে যাচ্ছে। সবাই পায়ে হেঁটে স্লোগানে স্লোগানে এগিয়ে যাচ্ছে। এই মিছিলের যেন শুরু-শেষ নেই।

বিজ্ঞাপন
banner

এর আগে বাদ ফজর থেকেই রাজধানী ও আশপাশের বিভিন্ন জেলাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসতে শুরু করেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। মিছিলে অংশ নেওয়া অধিকাংশের হাতে ফিলিস্তিনের পতাকা ও বিভিন্ন স্লোগানসম্বলিত প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে।

সকালে সোহরাওয়াদী উদ্যানের আশেপাশের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, উদ্যানের রমনা কালিমন্দির গেট, টিএসসি সংলগ্ন গেট, রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট সংলগ্ন গেট, ভিআইপি গেট দিয়ে কিছুক্ষণ পরপরই মিছিলসহ সমাবেশস্থলে আসছেন অংশগ্রহণকারীরা।

এ সময় ‘ফিলিস্তিন মুক্ত করো’, ‘গাজা রক্তে রঞ্জিত, বিশ্ব কেন নীরব’, ‘তুমি কে আমি কে, ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন’ স্লোগান দিতে থাকেন কর্মসূচিতে আসা লোকজন।

কর্মসূচিতে জামায়াতে ইসলামী, বিএনপি, এনসিপিসহ প্রায় সব রাজনৈতিক দল, আলেম-ওলামা সমাজসহ সব অঙ্গনের মানুষ সংহতি জানিয়েছেন। ফলে সকাল থেকে জনতার স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণে লোকারণ্য হয়ে ওঠে উদ্যান।

বেলা ১১টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রমনা পার্ক, মৎসভবন, হাইকোর্টের সামনের এলাকা, ঢাবির কার্জন হল, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি এলাকা, শাহবাগ, কাঁটাবন, বাংলামোটর লোকে লোকরণ্য হতে দেখা যায়। এসব এলাকা দিয়ে কোনো যান চলাচল করতে দেখা যায়নি। বন্ধ ছিল রিকশাও।

banner

এ জাতীয় আরো সংবাদ

প্রকাশক: আবু সায়েম খালেদ
পরিচালক: এইচ. এম. মুহিউদ্দিন খান
আসকান টাওয়ার, ৬ষ্ঠ তলা, ১৭৪ ধোলাইপাড়
যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪
ইমেইল: info@36news24.com
ফোন: 01401 400222