জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ফের চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। হামলার ঘটনায় প্রতিশোধ নিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত, আর সেই সম্ভাব্য প্রত্যাঘাতের মুখে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সীমান্তবর্তী ঘাঁটিগুলিতে সেনা এবং যুদ্ধবিমান মোতায়েন করছে পাকিস্তান।
বিশ্বস্ত সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানের করাচি বিমানঘাঁটি থেকে একাধিক সামরিক বিমান লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডির ঘাঁটিগুলিতে সরিয়ে আনা হয়েছে। বিমান ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ‘ফ্লাইটরাডার২৪’-এর তথ্যের ভিত্তিতে এই তৎপরতা সামনে আসে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া স্ক্রিনশটেও এ ধরনের সরণ স্পষ্ট দেখা গেছে।
পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে, বিশেষ করে ভারত সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত চারটি কৌশলগত বিমানঘাঁটি—লাহোরের নিকটবর্তী সারগোধা ও মুরিদ এবং রাওয়ালপিন্ডির পাশে চাকলালা ও নুর খান—তৎপরতার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘাঁটিগুলিকে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর “শিরদাঁড়া” বলে মনে করা হয়।
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, মুরিদ বিমানঘাঁটিতে মোতায়েন করা হয়েছে নজরদারি এবং আক্রমণাত্মক ড্রোন, যার মধ্যে রয়েছে Bayraktar TB2। এই ড্রোনগুলি তুরস্ক থেকে আমদানি করা হয়েছে এবং ২০২০ সালে আজারবাইজানের যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
এদিকে, নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বাঙ্কার ও সেনা মোতায়েন বাড়িয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। কাশ্মীর উপত্যকায় উচ্চ সতর্কতা জারি রয়েছে। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০১৯ সালের বালাকোটের ঘটনার পুনরাবৃত্তির আশঙ্কায় ইসলামাবাদ পুরোপুরি প্রস্তুতি নিচ্ছে।
যদিও ইসলামাবাদ বা সেনাবাহিনীর তরফে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি, তবে সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতি যুদ্ধের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না।
এনএ/