আমিরুল ইসলাম লুকমান >>
ভারত অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের পর্যটন এলাকা পেহেলগামে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে ২৬ জন পর্যটক নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছেন।
পেহেলগামের ঘটনায় নিহতদের স্বজনেরা মোদি সরকারকে দায়ী করে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) জিও নিউজ সূত্রে জানা যায়, অধিকৃত কাশ্মীরের নিহত এক ব্যাংক কর্মীর মরদেহ গুজরাটের সুরাতে পৌঁছলে, সেখানে সমবেদনা জানাতে আসা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সি আর পাতিলকে নিহতের স্ত্রী তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ‘তোমাদের জন্য ভিআইপি গাড়ি আছে, তোমাদের জীবন গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু যারা ট্যাক্স দেয় তাদের জীবনের কোনো মূল্য নেই?’
তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, ‘পেহেলগামে তখন কোনো নিরাপত্তা বাহিনী বা মেডিকেল ইউনিট ছিল না কেন?’
এছাড়া মহারাষ্ট্র থেকে আগত পারস জৈন নামক এক ব্যক্তি দাবি করেন, ‘গুলিবর্ষণ ২৫ থেকে ৩০ মিনিট ধরে চললেও সরকারি কোনো বাহিনীর সদস্য নিহতদের সাহায্যে এগিয়ে আসেনি।’
পুরো ঘটনা সম্পর্কে কাশ্মীরের জনগণ বলেছেন, পেহেলগামে ভারতের ‘ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশন’ (ভুয়া হামলার নাটক) সম্পূর্ণভাবে এক্সপোজ হয়েছে। তারা বলেন, ‘এই হামলা সম্পূর্ণভাবে ভারতের সরকারের সাজানো পরিকল্পনা। যেখানে হামলা হয়েছে সেখানে গাড়িও চলতে পারে না, কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে সন্ত্রাসীরা এলো কোথা থেকে?’
তারা আরও বলেন, ‘ভারতীয় সরকার কাশ্মীরিদের পারস্পরিক সৌহার্দ্য নষ্ট করতে চায়। কেউ কি তাদের জিজ্ঞাসা করতে পারে, ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে তাদের কী লাভ হয়েছে?’
এদিকে মোদি সরকার হামলার ঘটনার দায় পেহেলগামের হোটেল মালিকদের ওপর চাপিয়েছে বলেছে, হোটেল মালিকরা পুলিশের অনুমতি ছাড়া পর্যটকদের নিয়ে গিয়েছিল।
তবে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ স্বীকার করেছেন, এই ঘটনা ঘটানো উচিত হয়নি এবং ওই এলাকায় কোনো সুরক্ষা ব্যবস্থা ছিল না।
এই ঘটনার পর ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাবাহিনী ব্যাপক অভিযানে নেমেছে। এখন পর্যন্ত ১৫০০-রও বেশি কাশ্মীরিকে গ্রেফতার করেছে।
সূত্র: জিও নিউজ।
এআইএল/