থানা থেকে আওয়ামী লীগের নেতা পালানোর ঘটনায় ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদকে স্ট্যান্ড রিলিজ (তাৎক্ষণিক বদলি) করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (১৩ মে) সন্ধ্যায় পুলিশের কর্মকর্তা নিজে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আসামি ধরাকে কেন্দ্র করে আমাকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত থানায় কাউকে ওসি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। আমাকে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। সে অনুযায়ী (মঙ্গলবার) রাতেই আলফাডাঙ্গা ছেড়ে পুলিশ লাইনসে যোগদান করব।’
গত সোমবার (১২ মে) দুপুরে আলফাডাঙ্গা পৌরসভার বাকাইল সড়কের নিজের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিনকে (৫২) আটক করে পুলিশ।
ওই সময় ওসি স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে নাসির উদ্দিনকে। এর কিছুক্ষণ পরে আওয়ামী লীগের ওই নেতা মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে থানার পেছনের দিকে পুলিশ মেসের পাশ দিয়ে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়েন পুলিশের ওই কর্মকর্তা। যদিও নাসির উদ্দিনকে মঙ্গলবার সকালে পুনরায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, তাকে ধরে আনা হয়েছে, আর পরিবারের দাবি, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে তিনি আত্মসমর্পণ করেছেন।
এ বিষয়ে নাসির উদ্দিনের ছোট ভাই তৈয়বুর রহমান বলেন, ‘আমার ভাই রাজনীতি করেন, এটা ঠিক। কিন্তু তিনি কোনো মামলার আসামি নন। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমার ভাইকে পুলিশ থানায় নেওয়ার পর তিনি ভয় পান এবং থানা থেকে পালিয়ে যান। পরে আরেক ভাইকে আটক করে পুলিশ। আমরা খোঁজাখুঁজি করে তাকে থানায় আত্মসমর্পণ করার জন্য পারিবারিক সিদ্ধান্তের কথা জানাই। এরপর তিনি আত্মসমর্পণ করেন। এখন তিনি থানায় আছেন।’
তবে ওসি হারুন অর রশিদ বলেন, সোমবার তাকে আটকের পর থানা থেকে কৌশলে পালিয়ে যান। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোপালগঞ্জ থেকে পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে এসেছে।
এআইএল/