হাসান আল মাহমুদ >>
শাপলা চত্বরের সেই ভয়াল রাত, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি রক্তাক্ত অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে—সেই ঘটনার প্রতিবাদী কণ্ঠ, কলম ও ক্যামেরার সাহসী সৈনিকদের সম্মান জানাতে আয়োজন করা হয়েছে “সম্মাননা ও সম্মিলনী ২০২৫”।
শাপলা নিয়ে সদ্য সমাপ্ত হওয়া কনেফারেন্স বাস্তবায়ন কমিটির সচিব মাওলানা মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন ৩৬ নিউজকে জানান, এই অনন্য অনুষ্ঠানে সম্মান জানানো হবে তাদের, যারা শাসকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সত্য প্রকাশ করেছেন সংবাদে, প্রতিবেদনে, প্রামাণ্য চিত্রে। যারা সংসদে, টকশোতে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরেছেন মানবাধিকার লঙ্ঘনের নির্মম চিত্র।
তিনি বলেন, অনেকেই আহত ও নিহতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন চিকিৎসা ও অর্থ সহায়তা নিয়ে। কেউ কেউ কবিতা, প্রবন্ধ, উপন্যাস ও গল্পে লিপিবদ্ধ করেছেন শাপলার রাতের নির্মম ইতিহাস—গেঁথেছেন শহীদদের অমর চেতনা সাহিত্য-স্মৃতির পাতায়। অনেকে আবার ক্যামেরায় বন্দি করেছেন অকাট্য প্রমাণ, কিংবা পাণ্ডুলিপায় এঁকেছেন প্রতিরোধের চিত্র। যাঁরা শাপলা গণহত্যা নিয়ে সংবাদ প্রতিবেদন, গবেষণা, সাহিত্য-রচনা, চিকিৎসা সহায়তা, আইনগত লড়াই কিংবা স্মৃতি সংরক্ষণমূলক নানা উদ্যোগে সরাসরি অবদান রেখেছেন, তাঁদের সম্মান জানাতেই এই আয়োজন।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত হবেন—
🔹 যাঁরা সংবাদ, প্রতিবেদন ও প্রামাণ্য চিত্রে তুলে ধরেছেন রাষ্ট্রীয় সহিংসতার নির্মমতা;
🔹 যাঁরা সংসদে ও টকশোতে ছিলেন সোচ্চার,
🔹 জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্র তুলে ধরেছেন নির্ভীকভাবে;
🔹 আহত ও নিহতদের পাশে দাঁড়ানো চিকিৎসক, স্বেচ্ছাসেবক ও সহায়তাকারীরা;
🔹 সাহিত্যিক ও গবেষকরা, যাঁরা কবিতা, প্রবন্ধ, গল্প ও উপন্যাসে গেঁথেছেন শহীদদের অবিনাশী চেতনা;
🔹 আলোকচিত্রী ও চিত্রগ্রাহক, যাঁরা ক্যামেরায় বন্দি করেছেন সেই ইতিহাসের প্রমাণ;
🔹 এবং সকল অংশিজন, যাঁরা স্মৃতি সংরক্ষণ ও বার্তা প্রচারে ছিলেন নিবেদিত।
এইসব আলোর দূতদের সম্মান জানিয়ে ইতিহাস সংরক্ষণের পাশাপাশি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করাই এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য।
আয়োজনের বিবরণ:
শিরোনাম: “সম্মাননা ও সম্মিলনী ২০২৫”
তারিখ: ৩০ আগস্ট ২০২৫, শনিবার
সময়: বিকেল ৩টা
স্থান: (স্থান বিস্তারিত জানানো হবে আয়োজকদের পক্ষ থেকে)
এদিকে উন্মুক্ত এই আয়োজনে সকল সচেতন নাগরিক, সাংবাদিক, লেখক, মানবাধিকারকর্মী, গবেষক ও সমাজকর্মীদের উপস্থিত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
হাআমা/