মো: নিজাম উদ্দিন স্বাধীন >>
খুলনা মহানগরীর খালিশপুরে দিনে-দুপুরে দুর্বৃত্তের ছোড়া গুলিতে ট্যাংক লরি মালিক সমিতির সাবেক মহাসচিব এবং ৭ নং ওয়ার্ডের নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের সদস্য ফরহাদ হোসেনসহ ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেল ৪টার দিকে নগরীর খালিশপুর থানার যমুনা রোডের মালা গ্যারেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে তিনি খুলনার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত ফরহাদ উত্তর কাশিপুর এলাকার আকমান শেখের ছেলে। ফরহাদ ছাড়াও ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত অন্যরা হলেন, ফরহাদ হোসেনের ড্রাইভার মনিরুল ইসলাম এবং তার ম্যানেজার সোহেল।
স্থানীয়রা জানান, আজ মঙ্গলবার ২৭ মে বিকেল ৪টার দিকে জ্বালানী তেল ডিপো যমুনার সামনে থেকে ব্যক্তিগত গাড়িতে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন ফরহাদসহ তার সঙ্গীরা। এ সময় কয়েকটি ব্যারেল নিয়ে ছোট একটি পিকআপ তাদের গতিরোধ করে। পিকআপের সামনে বসে থাকা একজন শর্টগান বের করে তাদের লক্ষ্য করে গুলি করলে ফরহাদের ড্রাইভার মনিরুল দ্রুত গাড়ি ব্যাক গিয়ারে দিয়ে পেছনের দিকে যেতে থাকে। তখন মোটরসাইকেলে থাকা অন্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে-ছুড়তে এক কিলোমিটার ধাওয়া করে। পরবর্তীতে ড্রাইভার মেঘনা হয়ে ফরহাদ হোসেনের বাড়িতে নিয়ে যান। শর্টগানের গুলির ছররা ফরহাদ হোসেনের বাম কানে এবং মাথার ডান পাশের চামড়া ছুয়ে যায়। আহত হলেও ঘটনাক্রমে তিনি বেঁচে যান।
তবে ফরহাদ হোসেনের ড্রাইভার মনিরুল ইসলামের বাম হাতে এবং তার ম্যানেজার সোহেলের পিঠে শর্টগানের গুলি লাগে।
স্থানীয়রা আরও জানান, হামলাকারীদের মুখে মাস্ক ছিল। ৩টি মোটরসাইকেলে ৬ জন যুবক তাদের গুলি করতে-করতে পেছনের দিকে নিয়ে যায়।
সাংবাদিকদের কাছে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আবুল বাশার মোহাম্মাদ আতিকুর রহমান।
তিনি স্থানীয়দের বরাত দিয়ে আরও বলেন, সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ্য করে ৫-৬টি রাউন্ড গুলি ছোড়ে। তাদের গাড়ির কাচ ভেদ করে ফরহাদ হোসেন, তার ড্রাইভার মনিরুল ইসলাম এবং ম্যানেজার সোহেল আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়েছি। আমাদের খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন টিম তদন্ত করছে। কারা এই গুলিবর্ষণের ঘটনার সাথে জড়িত তাদের গ্রেপ্তার করার জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।
এআইএল/