খুলনা প্রতিনিধি >>>
খুলনার তেলিগাতি এলাকায় কোরবানির পশুর হাট বসানোর অনুমতি পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনা জেলা কমিটির সদস্য সচিব সাজিদুল ইসলাম বাপ্পী।
গত ৩১ মে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে হাট বসানোর অনুমতি দেওয়া হয়। তবে এ সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি), যারা আগেই ফুলবাড়ীগেট ও আশপাশের এলাকায় হাট বসানো না করতে জেলা প্রশাসককে চিঠি দিয়েছিল।
কেসিসির এস্টেট অফিসার শেখ সালাউদ্দিন বলেন, “ফুলবাড়ীগেট এলাকায় গরুর হাট বসানোর মতো পরিবেশ নেই। আমরা আগেই লিখিতভাবে আপত্তি জানিয়েছিলাম। তবুও কী কারণে অনুমতি দেওয়া হলো, তা আমাদের বোধগম্য নয়।”
তেলিগাতি টেকনিক্যাল কলেজের পাশে হাট বসাতে আবেদন করেছিলেন বাপ্পী। সরেজমিনে দেখা গেছে, হাটের প্রচারণা ইতোমধ্যে শুরু করেছেন তিনি। হাট পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছেন স্থানীয় বিএনপির সাবেক নেতা হুমায়ুন কবির বিল্লালকে।
সাজিদুল ইসলাম বাপ্পী বলেন, “আমি কোনো রাজনৈতিক প্রভাব খাটাইনি। সঠিক নিয়মে আবেদন করেছি, জমির মালিকের অনুমতি ছিল। আমার কাগজপত্র যাচাই করেই জেলা প্রশাসন অনুমতি দিয়েছে। অন্যদের আবেদনপত্রে বিভিন্ন ত্রুটি ছিল।”
জানা গেছে, এ বছর ফুলবাড়ীগেট ও আশপাশের এলাকায় মোট পাঁচটি পক্ষ হাট বসানোর আবেদন করে। এর মধ্যে বিএনপি ও ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা কুয়েট রোড, গিলাতলা ও মাহাবুব ব্রাদার্সের ফাঁকা জমিতে হাট বসাতে আবেদন করেন।
উল্লেখ্য, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) আওতায় নিয়মিত অনুমোদিত কোরবানির পশুর হাট বসে নগরীর জোড়াগেটে, যা কেসিসির নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয়। এর বাইরে তেলিগাতিতে গত বছরও একটি হাট বসানো হয়েছিল, যার অনুমতি নিয়ে তখনও কেসিসি আপত্তি জানিয়েছিল।
সাবেক যুবলীগ নেতা সাজ্জাদুর রহমান লিংকন এর আগে ফুলবাড়ীগেট এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে হাট বসাতেন। বর্তমানে তিনি পলাতক রয়েছেন বলে জানা গেছে।
জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র জানিয়েছে, যাদের আবেদন যাচাই-বাছাইয়ে জমির মালিকানা ও ব্যবহারের অনুমতির সঠিক কাগজ ছিল, তাদেরই হাট বসানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
তবে কেসিসির কর্মকর্তারা মনে করছেন, প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের পেছনে রাজনৈতিক প্রভাব থাকতেই পারে।
এনএ/