সাভার প্রতিনিধি : পবিত্র ঈদুল আজহার পর রাজধানী ও আশপাশের এলাকা থেকে কোরবানির পশুর চামড়া আসতে শুরু করেছে সাভারের চামড়া শিল্প নগরীতে। তবে চামড়ার মূল্য নিয়ে শুরু হয়েছে জটিলতা। সরকার নির্ধারিত দামে চামড়া কিনতে নারাজ আড়তদাররা। তাদের দাবি, নির্ধারিত মূল্যে চামড়া কিনলে লোকসান গুনতে হবে। ফলে চামড়া বিক্রেতা ও ফড়িয়াদের সঙ্গে দফায় দফায় দর কষাকষি ও উত্তেজনার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
ঈদের দিন সকাল থেকেই সায়েন্সল্যাব এলাকাসহ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে হাজির হন বিক্রেতা ও সংগ্রাহকেরা। এখান থেকে চামড়া সরবরাহ করা হচ্ছে পোস্তা এবং সাভারের হেমায়েতপুরে অবস্থিত চামড়া শিল্প নগরীর আড়তগুলোতে।
তবে এসব আড়তে গিয়েও মিলছে না ন্যায্য দাম। বিক্রেতারা অভিযোগ করছেন, চামড়ার গুণমান বিবেচনায় যথাযথ মূল্য পাচ্ছেন না তারা।
দুপুর ১২টার পর থেকে সাভারের আড়তগুলোতে ইজিবাইক ও অটোরিকশায় করে আশপাশের এলাকা থেকে আসতে থাকে বিপুল পরিমাণ চামড়া। আড়তদাররা গরুর চামড়ার মান অনুযায়ী ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা এবং ছাগলের চামড়া ৫০ টাকায় কিনছেন বলে জানা গেছে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দেখা দিয়েছে।
সাভার কাঁচা চামড়া আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি মো. আজিজ বলেন, “সরকার নির্ধারিত দামে চামড়া কেনা সম্ভব নয়। কারণ, এর সঙ্গে লবণ, শ্রমিক মজুরি ও পরিবহন ব্যয় যুক্ত হয়। এতে করে প্রতি পিস চামড়ায় লোকসান গুনতে হয়।”
চলতি বছর হেমায়েতপুরের আড়তগুলোতে প্রায় চার লাখ পিস চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণের লক্ষ্য রয়েছে। তবে ঈদের পরবর্তী ১০ দিন ঢাকার বাইরে থেকে অন্য কোনো জেলার চামড়া ঢাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
হাআমা/