আমিরুল ইসলাম লুকমান >>
কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র এবং ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত সমাজকর্মী মাহমুদ খলিল যুক্তরাষ্ট্রের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ঘোষণা দিয়েছেন, ফিলিস্তিনের পক্ষে আমি কথা বলেই যাবো, জীবন থাকা পর্যন্ত ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে লড়াই করে যাবো।
শুক্রবার (২০ জুন) রাতে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর নিউ জার্সির নিউইয়র্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ৩০ বছর বয়সী মাহমুদ বলেন, আমেরিকার সরকার গাজায় চলমান গণহত্যাকে আর্থিকভাবে সহায়তা করছে এবং কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এই হত্যাযজ্ঞে বিনিয়োগ করছে। আমি প্রতিবাদ থামাবো না। তারা আমাকে আবার গ্রেপ্তার করলে, এমনকি আমাকে হত্যা করলেও আমি ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলব।
মার্কিন একটি ফেডারেল আদালতের বিচারক মাহমুদকে জামিনে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন। তবে তার ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করতে পারবেন না এবং নির্দিষ্ট কিছু গণজমায়েতে অংশগ্রহণেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের মার্চ মাসে মাহমুদ খলিলকে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ নিউইয়র্কে তার বিশ্ববিদ্যালয় হোস্টেল থেকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় যে, তিনি ইমিগ্রেশন ফর্মে মিথ্যা তথ্য প্রদান করেছিলেন। যদিও মাহমুদ একজন বৈধ মার্কিন নাগরিক, তাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয় মূলত ফিলিস্তিনপন্থী প্রতিবাদে অংশগ্রহণের জন্য।
তার এই গ্রেপ্তার ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে ইসরায়েলবিরোধী ছাত্রদের দমন-পীড়নের প্রতীক হয়ে ওঠে, যেখানে অনেক প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থীকে অ্যান্টি-সেমিটিজম বা ‘ইহুদিবিদ্বেষ’-এর অভিযোগে অভিযুক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়।
মাহমুদ খলিলের সমর্থকরা বলছেন, এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত এবং তারা তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
সূত্র: ডেইলি জং।
এআইএল/