জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথমবার্ষিকী উদযাপন-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে ৩৬ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে খেলাফত মজলিস। মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের।
মঙ্গলবার থেকেই এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।
ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- মসজিদ-মাদ্রাসাসহ সব প্রতিষ্ঠান ও দলীয় কার্যালয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল আয়োজন করা; শহীদদের কবর জিয়ারত, শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ, আহতদের খোঁজখবর নেয়া ও সম্ভাব্য সহযোগিতা করা; ফ্যাসিবাদী খুনীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত ও কাঙ্ক্ষিত সংস্কার পূর্বক দ্রুত জুলাই সনদ ঘোষণা ও একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানিয়ে সারাদেশে গণ জমায়েত, আলোচনা সভা, গণসংযোগ ও মতবিনিময় ও মিছিলের আয়োজন করা; শিশু-কিশোর-ছাত্র সমাবেশ করা, ২৪’র জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে কুইজ, চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতা, দেয়ালিকা প্রকাশ, আন্দোলনের ভিডিও প্রদর্শণী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা।
১৬ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের শাহাদাত দিবসে দেশব্যাপী বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠান; বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি, পরিচ্ছন্নতা অভিযান, ব্লাড গ্রুপিং ও রক্তদান কর্মসূচি পালন করা; পোস্টার, লিফলেট, ব্যানার, ফেস্টুন প্রকাশ ও দেয়াল লিখন করা এবং ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দিবসে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে গণসমাবেশ/আলোচনা সভা/র্যালীর আয়োজন করা।
এ সময় ড. আহমদ আব্দুল কাদের বলেন, প্রকৃত পক্ষে ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া আন্দোলন ৩৬ দিনের মাথায় ৫ আগস্ট তথা ৩৬ জুলাই স্বৈরাচার হাসিনা ও তার দোসরদের পলায়নের মাধ্যমৈ সফলতায় পৌঁছে। এ দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। খেলাফত মজলিসের পক্ষ থেকে যথাযথ গুরুত্ব সহকারে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উদযাপন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এসব কর্মসূচি সফলে এরইমধ্যে সারাদেশের সব জেলা- মহানগর শাখাকে সার্কুলারের মাধ্যমে নির্দেশনা প্রেরণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ সব কর্মসূচি ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ফ্যাসিবাদ বিরোধী চেতনাকে জাগ্রত রাখবে। ঐক্যবদ্ধভাবে এসব কর্মসূচি সফল করতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি উদাত্ত আহবান জানান তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. কাদের বলেন, ৫ আগস্টের আগে জুলাই সনদ ঘোষণা করা সম্ভব না। যেসব প্রস্তাবে সবাই ঐকমত্য হবে, জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে সেসব বিষয়ে জুলাই সনদ প্রণনয় করা হবে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে খেলাফত মজলিস মহাসচিব বলেন, আমরা সংসদের উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি চাই। যদি পিআর পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষে আসন বন্টন করা না হয় তাহলে সংসদে উচ্চকক্ষ থাকার প্রয়োজন নেই।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক মো: আবদুল জলিল, প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু প্রমুখ।
এআইএল/