চট্টগ্রামের রাউজানে যুবদল নেতা সেলিমকে (৪২) গুলি করে হত্যার কিলিং মিশনের একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
সোমবার (৭ জুলাই) সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, এ হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় পাঁচজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। এদের মধ্যে তিনজন ছিলেন বোরকা পরিহিত ও দুই জনের মুখে রুমাল মোড়ানো। সবার হাতে ছিল অস্ত্র। পাুলিশ জানিয়েছে, উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের ঈষাণ ভট্টের হাট এলাকায় হত্যার পর পালিয়ে যাওয়ার সময়কার সিসিটিভি ফুটেজ এটি।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে দুইজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। দুইজনই চিহ্নিত সন্ত্রাসী। এদের একজনের নাম রায়হান ও অপরজন ধামা ইলিয়াস। বোরকা পরা তিনজনকে শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, ঈষাণ ভট্টের হাট এলাকায় সেলিমকে গুলি করে হত্যার পর খুনিরা যে অটোরিকশা ব্যবহার করেছিল সেটা অর্ধ কিলোমিটার অদূরে হযরত আশরাফ শাহ (র:) এর মাজার গেট সংলগ্ন এলাকায় তাদের ছেড়ে দেয়। গেট সংলগ্ন এলাকায় এসে অপর একটি অটোরিকশায় উঠে কমলার টিলা নামক স্থান দিয়ে পাহাড়ের দিকে চলে যায় খুনিরা।
রাউজানের কমলার টিলা হয়ে পার্বত্য জেলা রাঙামাটির কাউখালি উপজেলা ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলার গহীন অরণ্য পাহাড় অবস্থিত। তিন উপজেলা সীমান্তবর্তীর এই নির্জন পাহাড়ে যাওয়ার কোনো সড়কপথ নেই। পায়ে হেঁটে প্রায় ৫/৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে নিরাপদ স্থানে চলে যায় খুনিরা। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা দৃশ্যটি মূলত হযরত আশরাফ শাহ মাজারের স্থাপন করা ক্যামেরায় ধারণ করা।
গত রোববার দুপুরে কদলপুর ইউনিয়ন যুবদল নেতা সেলিমকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। সেলিম কদলপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শমসেরপাড়া এলাকার আমির হোসেনের ছেলে এবং কদলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব। তিনি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার গ্রুপের অনুসারী ছিলেন।
এনআর/