ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। গাজা নিয়েও পিছপা না হওয়ার মনোভাব দেখিয়েছিলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও তোষামোদ কম করেননি। তার পরেও টলমল ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর আসন?
নেতানিয়াহুর সঙ্গী দল ইউনাইটেড তোরাহ জুডাইজম (ইউটিজে) আগেই নিজেদের সমর্থন প্রত্যাহার করে নিয়েছিল বর্তমান সরকার থেকে। সোমবার রাতেই এই দলের আট সদস্য নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছিল। বুধবার নেতানিয়াহুর শাসক জোটে থাকা অন্য কট্টর রক্ষণশীল দল ‘শাস’-ও একই পথে হাঁটল।
এই দলের পার্লামেন্টের ১০ সদস্যও নেতানিয়াহুর থেকে সমর্থন তুলে নিলেন। ফলে ১২০টি আসনের ইসরাইলি পার্লামেন্টে নেতানিয়াহুর পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠতা আর রইল না। এর জেরে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হলে বিপদের খাঁড়া যে ঝুলছে, তা মানছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী ঘনিষ্ঠরাও। তবে নেতানিয়াহুর ‘লিকুড’ পার্টির তরফে এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনও বিবৃতি সামনে আসেনি।
ইউনাইটেড তোরাহ জুডাইজম এবং শাস দুই দলের সমর্থনে ২০২২ সালে ক্ষমতায় বসেছিলেন নেতানিয়াহু। ইসরাইলের তরুণদের বাধ্যতামূলক ভাবে ছাত্রজীবনে সেনা প্রশিক্ষণ নিতে হয়। কিন্তু সেই দেশের ধর্মীয় শিক্ষার্থীদের একাংশকে দীর্ঘদিন ধরে বাধ্যতামূলক সেনা প্রশিক্ষণ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হতো। এ জন্য ইসরাইলের বহু মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ছিল।
কিন্তু, গত বছরে ইসরাইলের সুপ্রিম কোর্ট সেনা প্রশিক্ষণ থেকে ওই বিশেষ শ্রেণির অব্যাহতির নিয়ম প্রত্যাহার করে। পাশাপাশি পার্লামেন্টে একটি নতুন ‘বাধ্যমূলক সেনা নিয়োগ’ সংক্রান্ত আইন প্রণোয়নের চেষ্টা করে বর্তমান সরকার। এর ফলেই কট্টরপন্থী দলগুলির বিষদৃষ্টিতে পড়েছেন নেতানিয়াহু। উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সাল থেকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী পদে রয়েছেন তিনি। এ বার কি ক্ষমতায় বসবেন অন্য কেউ? উঠছে প্রশ্ন।
এনআর/