পাকিস্তানে মৌসুমি বৃষ্টি ও এর ফলে সৃষ্ট বন্যায় মৃতের সংখ্যা দু’শো ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে ৯৬ জন শিশু।
শনিবার (১৯ জুলাই) দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানায়। খবর জিও নিউজের।
সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি ঘনবসতিপূর্ণ প্রদেশ পাঞ্জাবের। শুধুমাত্র পাঞ্জাবেই মারা গেছে কমপক্ষে ১২৩ জন। এছাড়া খাইবার পাখতুনখোয়ায় ৪০, সিন্ধুতে ২১, বেলুচিস্তানে ১৬ এবং ইসলামাবাদ ও আজাদ জম্মু ও কাশ্মিরে একজন করে মারা গেছেন।
এদের মধ্যে বেশিরভাগই নিহত হন ঘর ধসে। কমপক্ষে ১১৮ জন ধসে পড়া ঘরের নিচে চাপা পড়ে নিহত হন। এছাড়া আকম্মিক বন্যায় ৩০ জন এবং অন্যরা মারা গেছেন বজ্রপাত, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট এবং ভূমিধসের কারণে।
জিও নিউজের খবরে বলা হয়েছে, রাওয়ালপিন্ডিতে আকস্মিক বন্যায় ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট এবং বাজার ভেসে গেছে। ধামিয়াল, হাতি চক এবং মোরগাহের মতো এলাকা পুরো ডুবে গেছে।
তেঞ্চ ভাটা এবং ফৌজি কলোনিতে পানির স্তর বিপজ্জনকভাবে বেড়ে গেছে। কিছু এলাকায় ঘরের ছাদ পর্যন্ত পানি পৌঁছে গেছে। যার ফলে এলাকাবাসী তাদের জিনিসপত্র রেখে পালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
ফয়সালাবাদেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মাত্র দুই দিনে ৩৩টি ঘটনায় ১১ জন নিহত এবং ৬০ জন আহত হয়েছেন। বেশিরভাগ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে দুর্বল কাঠামো ধসের কারণে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের অনেকেই জানিয়েছেন যে বর্ষার আগে তাদের বাড়িঘর মেরামত করার মতো অর্থের অভাব রয়েছে।
ভারী বৃষ্টিপাত এবং ভূমিধসের ফলে পাঞ্জাবজুড়ে অসংখ্য অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। ৪৫০ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টিপাতের ফলে চাকওয়ালের কমপক্ষে ৩২টি রাস্তা ভেসে গেছে।
রাওয়ালপিন্ডির কারোলি ধোকে সেতু এলাকায় বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট রাস্তার ফাটল মেরামত করে যান চলাচল পুনরায় শুরু করা হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তানে প্রচণ্ড দাবদাহ ও বন্যা দেখা দিচ্ছে।
এআইএল/