জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য দেশের মধ্যে ১৪৭টি দেশ এরইমধ্যে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ২০১২ সালে ফিলিস্তিন জাতিসংঘে পর্যবেক্ষকের মর্যাদা পায়। এই মর্যাদার ফলে ফিলিস্তিন জাতিসংঘের বেশিরভাগ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারে। তবে কোন প্রস্তাবে ভোট দিতে পারেনা।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সংবাদ মাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত সপ্তাহেই আরো তিনটি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। এই তিনটি দেশই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান মিত্র। আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে এই স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশ তিনটি।
প্রথমে ফ্রান্স জানায়, তারা সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে। এরপর যুক্তরাজ্য ও কানাডাও ফ্রান্সের সঙ্গে যোগ দিয়ে জানায়, তারাও একই পরিকল্পনা করছে।
যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরের মধ্যে গাজায় হামাসের সাথে ইসরাইল যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হলে তারা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে।
কানাডাও একই ধরনের পরিকল্পনা নিয়েছে। তবে এই স্বীকৃতি কিছু বিষয়ের ওপর নির্ভর করবে বলে জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। সেগুলো হলো-ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষকে নিজেদের শাসন ব্যবস্থায় মৌলিক সংস্কার আনার, হামাসকে বাদ দিয়ে সাধারণ নির্বাচনের আয়োজন করা এবং এই ভূখণ্ডকে নিরস্ত্রীকরণের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ঘোষণাগুলো গাজায় ইসরাইলের হামলা ও অবরোধের প্রতি গভীর হতাশার প্রতিফলন ঘটায়। ইসরাইলের হামলায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। চরম অভাব ও ক্ষুধা সংকটে পড়েছেন অন্তত ২০ লাখ মানুষ।
স্পেন, আয়ারল্যান্ড এবং নরওয়েসহ আরো বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ গত বছর ২০২৪ সালে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ সদস্য ব্রিটেন, চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্য স্বীকৃতি দিলে যুক্তরাষ্ট্রই একমাত্র স্থায়ী সদস্য হিসেবে থেকে যাবে যারা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে না।
এআইএল/