আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর–বিজয়নগর) আসনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন দলের প্রচার সম্পাদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতি সন্তান মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী।
শনিবার বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী আনুষ্ঠানিকভাবে তার নাম ঘোষণা করেন।
ঘোষণার পর মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী ৩৬নিউজকে বলেন, “এটি শুধু একটি প্রার্থী ঘোষণা নয়, বরং আমার ওপর অর্পিত একটি আমানত। আমার দলের সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নেতৃবৃন্দ আমাকে যে আস্থা ও ভালোবাসা দিয়েছেন, তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।”
তিনি আরও বলেন, “আমি নির্বাচিত হলে ইনসাফভিত্তিক ও কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় কাজ করবো। এলাকার উন্নয়নে স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, রাস্তা ও কালভার্ট নির্মাণ করবো। যুব সমাজকে ধ্বংসকারী মাদক নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবো। আইনশৃঙ্খলা উন্নয়ন এবং সামাজিক শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্যও সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো, ইনশাআল্লাহ।”
দলীয় সূত্রে জানা যায়, মুফতি সিরাজী খেজুর গাছ প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। দলের আশা, তার সততা, জনগণের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক এবং আদর্শে অটল অবস্থান ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে বিজয়ের পথ প্রশস্ত করবে।
মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী দীর্ঘদিন ধরে জমিয়তের প্রচার সম্পাদক হিসেবে কাজ করে আসছেন। ইসলামি শিক্ষা, সামাজিক সেবা এবং সাংগঠনিক দক্ষতায় তিনি দলের ভেতরে ও বাইরে পরিচিত মুখ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সন্তান হিসেবে তিনি এলাকাবাসীর সুখে–দুঃখে পাশে থেকেছেন এবং বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তায় তার অবদান উল্লেখযোগ্য।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দলগুলোর একটি, যার শিকড় উপমহাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন ও ঐক্যের ইতিহাসে প্রোথিত। খেজুর গাছ প্রতীকের এই দলটি ন্যায়ভিত্তিক শাসন, ইসলামি শিক্ষা বিস্তার, মানবকল্যাণমূলক সমাজব্যবস্থা গঠন এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষাকে প্রধান লক্ষ্য হিসেবে তুলে ধরে আসছে। বিশেষ করে শিক্ষাক্ষেত্রে মাদরাসা ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়, দারিদ্র্য বিমোচন, সামাজিক অবক্ষয় রোধ এবং গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দলটির ভূমিকা সুস্পষ্ট।
এনএ/